Madhyamik Class 10th Bengali adal badal Question and Answer
2 mins read

Madhyamik Class 10th Bengali adal badal Question and Answer

Spread the love
  • অদল বদল (গল্প) পান্নালাল প্যাটেল – মাধ্যমিক দশম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Bengali adal badal Question and Answer
  1. হোলির দিনের পড়ন্ত বিকেল হোলি যেঋতুতে হয় , তা হল

(A) বসন্ত  (B) শীত  (C) হেমন্ত   (D) শরৎ

Ans: (A) বসন্ত

  • গড়ন্তশব্দের অর্থ হল

(A) পড়াশোনা করছে এমন   (B) পতনোন্মুখ   (C) শেষ হয়ে আসছে এমন  (D) পরিত্যক্ত

Ans: (C) শেষ হয়ে আসছে এমন

  • পান্নালাল প্যাটেল ছিলেন

(A) বাংলা ভাষার লেখক   (B) হিন্দি ভাষার লেখক  (C) গুজরাটি ভাষার লেখক   (D) মারাঠি ভাষার লেখক

Ans: C) গুজরাটি ভাষার লেখক

  • নিম গাছের নীচে গাঁয়ের একদল ছেলে জড়ো হয়ে যা খেলছিল , তা হল

(A) ফুটবল   (B) ধুলো ছোড়াছুড়ি   (C) ছোঁয়াছুঁয়ি  (D) দড়ি টানাটানি

Ans: (B) ধুলো ছোড়াছুড়ি

  • অদল বদলযেদুই বন্ধুর গল্প , তাদের নাম হল

(A) অমৃত ও ইরফান   (B) অমিত ও ইরফান   (C) অমৃত ও ইসাব  (D) অমিত ও ইসাব 

Ans: (C) অমৃত ইসাব

  • অমৃত ইসাবের কাছে নতুন যেজিনিসটি ছিল , তা হল— 

(A) জামা   (B) প্যান্ট   (C) বই   (D) বল 

Ans: (A) জামা

  • অমৃত ইসাবের জামা যে যে দিক থেকে একরকম ছিল— 

(A) রং , ছাপা ও ঝুল  (B) রং , মাপ , কাপড়   (C) মাপ , ঝুল ও কাপড়   (D) ছাপা , ঝুল ও কাপড় 

Ans: (B) রং , মাপ , কাপড়

  • অমৃত ইসাব পড়ত

(A) একই স্কুলে একই ক্লাসে   (B) একই স্কুলে আলাদা ক্লাসে   (C) আলাদা স্কুলে একই ক্লাসে  (D) আলাদা স্কুলে আলাদা ক্লাসে

Ans: A) একই স্কুলে একই ক্লাসে

  • দুজনের বাবা পেশায় ছিলেন – 

(A) তাঁতি  (B) শিক্ষক  (C) কুমোর  (D) চাষি

Ans: D) চাষি

  1. অমৃতের বাড়িতে ছিলেন

(A) শুধু বাবা     (B) বাবা – মা ও তিন ভাই   (C) বাবা ও মা   (D) বাবা ও ভাই

Ans: (B) বাবামা তিন ভাই

  1. ইসাবের বাড়িতে ছিলেন – 

(A) শুধু বাবা   (B) বাবা – মা ও তিনভাই   (C) বাবা ও মা   (D) বাবা ও ভাই 

Ans: (A) শুধু বাবা

  1. জনের একরকম পোশাক দেখে অদুমৃত ইসাবকে বলা হয়েছিল— 

(A) গান করতে   (B) নাচ করতে   (C) কুস্তি করতে  (D) খেলা করতে 

Ans: (C) কুস্তি করতে

  1. _____ পাবার জন্য তুমি কী কাণ্ডটাই না করেছিলে

(A) বই   (B) নতুন জামা   (C) পুরস্কার  (D) প্রশংসা 

Ans: (B) নতুন জামা

  1. অমৃত তার বাবামাকে জ্বালিয়েছিল

(A) খেলার জন্য   (B) নতুন জামার জন্য  (C) পড়াশোনা না করার জন্য  D) স্কুলে যাবে না বলে

Ans: (B) নতুন জামার জন্য

  1. নতুন জামা পাওয়াটা অমৃত ইসাবের পক্ষে কঠিন ছিল কারণ

(A) তাদের বাবারা ছিলেন রাগি    (B) তাদের জামার প্রয়োজন ছিল না  (C) তখন কোনো উৎসব ছিল না  (D) তারা ছিল গরিব 

Ans: (D) তারা ছিল গরিব

  1. শোনামাত্র অমৃত ফতোয়া জারি করে দিল , — ‘ ফতোয়াশব্দের অর্থ হল

(A) প্রতিবাদ   (B) চিৎকার  (C) দাবি  (D) রায়

Ans: (D) রায়

  1. তাহলে তোমার কপালে কী আছে মনে রেখো ’— এখানে কপালে আছে বলতে বলা হয়েছে

(A) ভাগ্যরেখা   (B) তিলক   (C) প্রশংসা  (D) প্রহার

Ans: (D) প্রহার

  1. ইসাবের জামা ছিঁড়ে গিয়েছিল , কারণ— 

(A) তাকে খেতে কাজ করতে হত   (B) তাকে একই জামা রোজ পরতে হত   (C) সে যত্ন নিতে জানত না   (D) তার জামা পুরোনো হয়ে গিয়েছিল

Ans: (A) তাকে খেতে কাজ করতে হত

  1. মরিয়া হয়ে বলল , ‘ ‘ হল

(A) অমৃত   (B) ইসাব  (C) অমৃতের মা  (D) ইসাবের বাবা

Ans: (A) অমৃত

  • অমৃত যেখানে লুকিয়ে ছিল , সেই স্থানটি হল – 

(A) অমৃতের স্কুল   (B) ইসাবের বাড়ি   (C) ইসাবের বাবার গোয়ালঘর  (D) বাড়ির পাশের গলি

Ans: (C) ইসাবের বাবার গোয়ালঘর

  • এরপর উনি গিয়ে ইসাবের বাবার গোয়ালঘর থেকে লুকিয়ে থাকা অমৃতকে বাড়ি নিয়ে এলেন ’— উনি বলতে বোঝানো হয়েছে – 

(A) ইসাবের মা   (B) অমৃতের বাবা   (C) ইসাবের বাবা   (D) অমৃতের মা 

Ans: (D) অমৃতের মা

  • অমৃত একেবারেই গররাজি ছিল – 

(A) জামা ছিঁড়তে  (B) স্কুলে যেতে   (C) ইসাবের সঙ্গে কুস্তি লড়তে   (D) মার খেতে

Ans: C) ইসাবের সঙ্গে কুস্তি লড়তে

  • ছেলেছোকরার দঙ্গল অমৃতকে কুস্তির উদ্দেশ্যে নিয়ে গেল

(A) শান বাঁধানো ফুটপাথে   (B) ইসাবের বাবার গোয়ালঘরে  (C) খোলা মাঠে (D) দুই বাড়ির মাঝখানে 

Ans: (C) খোলা মাঠে

  • যেছেলেটি অমৃতকে কুস্তি লড়তে ডেকেছিল , তার নাম 

(A) ইসাব   (B) কালিয়া   (C) হাসান   (D) বাহালি

Ans: (B) কালি

  • ইসাবের মেজাজ চড়ে গেল ’— কারণ

(A) ইসাব অমৃতকে খুব ভালোবাসত   (B) ইসাব কালিয়াকে পছন্দ করত না   (C) ইসাব অমৃতকে ঈর্ষা করত  (D) অমৃতের জামাটা বেশি সুন্দর ছিল

Ans: (A) ইসাব অমৃতকে খুব ভালোবাসত

\

  • সবাই যে যেদিকে পারে পালিয়ে গেল ‘ – কারণ

(A) ইসাব তাদের মারবে   (B) অমৃত তাদের মারবে  (C) কালিয়া তাদের মারবে   (D) কালিয়ার বাবা  – মা তাদের মারবে

Ans: (D) কালিয়ার বাবা  – মা তাদের মারবে

  • ইসাবের জামার যতটা কাপড় ছিঁড়ে গিয়েছিল— 

(A) তিন ইঞ্চি   (B) চার ইঞ্চি   (C) ছ – ইঞ্জি   (D) পাঁচ ইঞ্চি 

Ans: (C) ইঞ্জি

  • ওরা ভয়ে কাঠ হয়ে গেল ওদের ভয় পাওয়ার কারণ

(A) জামা ছিঁড়ে যাওয়া  (B) শাস্তি পাওয়া   (C) বাবার হাতে মার খাওয়া  (D) সবকটিই

Ans: C) বাবার হাতে মার খাওয়া

  • এমন সময়ে শুনতে পেল’ –
  • অমৃতের বাবা ইসাবকে ডাকছেন  (B) ইসাবের বাবা অমৃতকে ডাকছেন  (C) অমৃতের বাবা অমৃতকে ডাকছেন  (D) ইসাবের বাবা ইসাবকে ডাকছেন 

Ans: (D) ইসাবের বাবা ইসাবকে ডাকছেন

অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর | অদল বদল (গল্প) পান্নালাল প্যাটেলমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন উত্তর

  1. বলতে গেলে ছেলে দুটোর সবই একরকম , তফাত শুধু এই যে , —তফাতটা কী ?

Ans: পান্নালাল প্যাটেলের ‘ অদল বদল ‘ গল্পের ছেলে দুটো হল ইসাব আর অমৃত । অভিন্নহৃদয় এই দুই বন্ধুর তফাত এই যে , অমৃতের বাবা – মা আর তিন ভাই ছিল , ইসাবের শুধু বাবা ছিল ।

  1. তোরা দুজনে কুস্তি কর তো , ‘ — কথা বলার কারণ কী

Ans: অমৃত ও ইসাবের একইরকম জামা দেখে একটি ছেলে তারা শক্তির দিক থেকেও এক কিনা তা দেখতে তাদের কুস্তি করতে বলে ।

  1. তাহলে মা আমাকে ঠ্যাঙ্গাবে মা কেন ঠ্যাঙাবে বলে অমৃত মনে করেছিল

Ans: টাকাপয়সার অভাব সত্ত্বেও অমৃতের জেদাজেদিতে জামাটি কেনা হয়েছিল , তাই সেটি ছিঁড়লে বা ময়লা করলে তার মা তাকে মারবে সেটাই স্বাভাবিক ।

  1. ওর মা সাবধান করে দিয়েছিলেন , কার মা , কী থেকে সাবধান করে দিয়েছিলেন

Ans: অমৃতের জেদের কারণে তার মা তাকে নতুন জামা কিনে দিলেও সেটি ছিঁড়লে বা ময়লা করলে তার ভাগ্যে যে কষ্ট আছে সে বিষয়ে সাবধান করেছিলেন ।

  1. অমৃত ফতোয়া জারি করে দিল , ‘ — অমৃত কী ফতোয়া জারি করেছিল

Ans: নতুন জামার জন্য বাবা – মাকে রাজি করাতে না পেরে অমৃত ফতোয়া জারি করেছিল যে , ঠিক ইসাবের মতো জামা না পেলে সে আর স্কুলে যাবে না । 

  1. মা ওকে অনেক বুঝিয়েছিল , ‘ — মা অমৃতকে কী বুঝিয়েছিলেন ?

Ans: অমৃত ইসাবের মতো জামা চাওয়ায় মা তাকে বুঝিয়েছিলেন যে , ইসাব খেতে কাজ করায় তার জামা ছিঁড়ে গেছে ; কিন্তু অমৃতের জামা প্রায় নতুনই আছে ।

  1. অমৃত এতেও পিছপা হতে রাজি নয়।– ‘ এতেও বলতে কী বোঝানো হয়েছে ?
ALSO READ :  Madhyamik class 10th Bengali Asukhi Ekjon Question and Answer

Ans: ইসাবের মতো জামা পাওয়ার জন্য অমৃত বাবার হাতে মার খেতেও রাজি । ‘ এতেও ’ বলতে উক্ত প্রসঙ্গকে বোঝানো হয়েছে । 

  1. কিন্তু অত সহজে হাল ছাড়ার পাত্রও সে নয় অমৃতের হাল না ছাড়ার কী প্রমাণ দিয়েছেন লেখক ?

Ans: অমৃত জানত জামা কেনার ব্যাপারে বাবা নয় মায়ের রাজি হওয়াটাই আসল । তাই সে স্কুলে যাওয়া , খাওয়া বন্ধ করে রাত্রে বাড়ি পর্যন্ত ফিরতে রাজি হল না ।

  1. শেষপর্যন্ত অমৃতের মা কী করলেন ?

Ans: শেষমেশ অমৃতের মা অমৃতের জেদের কাছে হার স্বীকার করে নতুন জামার জন্য অমৃতের বাবাকে রাজি করান ও অমৃতকে ইসাবদের গোয়ালঘর থেকে উদ্ধার করেন ।

  1. আমি কুস্তি লড়তে চাই না , ‘ — কথা বলার কারণ কী ছিল ?

Ans: ‘ অদল বদল ‘ গল্প অনুসারে কুস্তি লড়লে অমৃতের নতুন জামা নষ্ট হয়ে যেত । তা ছাড়া ইসাব ছিল তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু । তাই সে কুস্তি লড়তে চায়নি ।

  1. ছেলের দল আনন্দে চেঁচিয়ে উঠল , আনন্দের কী কারণ ঘটেছিল ?

Ans: ‘ অদল বদল ‘ গল্প অনুসারে অমৃত ও ইসাব নিজেদের মধ্যে কুস্তি লড়তে রাজি না – হওয়ায় , কালিয়া জোর করে অমৃতকে খোলা মাঠের মধ্যে নিয়ে গিয়ে ছুড়ে ফেলে দেয় । এতে কালিয়ার জিত হয়েছে ভেবে ছেলেদের আনন্দ হয়েছিল ।

  1. এসো , আমরা কুস্তি লড়ি কে , কাকে বলেছিল ?

Ans: পান্নালাল প্যাটেলের ‘ অদল বদল ‘ গল্পে কুস্তি লড়তে অনিচ্ছুক অমৃতকে কালিয়া বলেছিল প্রশ্নোদ্ধৃত কথাটি ।

  1. কুস্তি শুরু হয়ে গেল কুস্তির ফলাফল কী হয়েছিল ?

Ans: কালিয়া অমৃতকে আছাড় মারায় ইসাব রেগে গিয়ে কালিয়াকে কুস্তি র আহ্বান জানায় । কুস্তি শুরু হতেই ইসাব কালিয়াকে ল্যাং মেরে মাটিতে ফেলে দেয় ।

  1. ওরা ভয়ে কাঠ হয়ে গেল ওরা কেন ভয় পেল ?  

Ans: কালিয়ার সঙ্গে কুস্তি লড়তে গিয়ে ইসাবের নতুন জামার পকেট ছিঁড়ে গিয়েছিল । জামা ছেঁড়ার জন্য বাড়িতে বকুনি খাওয়ার ভয়ে অমৃত ও ইসাবের এই অবস্থা হয় ।

  1. ওদের তখন বুকের ধুকপুকুনি বন্ধ হবার জোগাড়কী কারণে ওদের এই অবস্থা হয়েছিল ?

Ans: অমৃতকে বাঁচাতে কালিয়ার সঙ্গে লড়াই করে ইসাব বাবার কষ্ট করে কিনে দেওয়া জামাটা ছিঁড়ে ফেলে । সেই সময় ইসাবের বাবার ডাকে তাদের এই অবস্থা হয়েছিল । 

  1. হঠাৎ অমৃতের মাথায় একটা বুদ্ধি খেলে গেল , – বুদ্ধিটি কী ছিল

Ans: ইসাবের জামা ছেঁড়ার ব্যাপারটা যাতে কেউ বুঝতে না পারে সেঞ্জনা নিজের অক্ষত জামাটা ইসাবের সঙ্গে বদলে নেওয়ার বুদ্ধি খেলে যায় অমৃতের মাথায় ।

  1. কিন্তু আমাকে বাঁচানোর জন্য তো আমার মা আছে ? –অমৃতের এই কথার মধ্য দিয়ে তার কোন মানসিকতা প্রকাশিত হয়েছে

Ans: অমৃতের কথাগুলির মধ্যে দিয়ে একদিকে মা – হারা বন্ধু ইসাবের প্রতি সহমর্মিতা , অপর দিকে নিজের মা – র প্রতি অগাধ আস্থার ছবি ফুটে উঠেছে ।

  1. ইসাবের মনে পড়ল , ইসাবের কী মনে পড়ল ?

Ans: ইসাবের মনে পড়ল যে , সে দেখেছে অমৃতের বাবা অমৃতকে মারতে গেলেই তার মা তাকে আড়াল করেন ।

  1. ভয়ে অমৃতের বুক ঢিপঢিপ করছিল অমৃতের ভয় পাওয়ার কারণ কী ?

Ans: ইসাবকে বাঁচাতে গিয়ে নিজের ভালো জামার পরিবর্তে ইসাবের ছেঁড়া জামা গায়ে পরে অমৃত ভয় পায় মা থাকা সত্ত্বেও সে কি বাবার হাত থেকে রেহাই পাবে ?

  1. অমৃতের মা ছেঁড়া জামা দেখে কী করেছিলেন ?

Ans: হোলিতে বাচ্চাদের ধস্তাধস্তি স্বাভাবিক , তাই ছেঁড়া জামা দেখে অমৃতের মা ভুরু কোঁচকালেও কিছু না বলে হুঁচসুতো দিয়ে জামাটি রিফু করে দিয়েছিলেন ।

  1. এই আশঙ্কা করে তারা চলে যেতে চাইলতারা কী আশঙ্কা করেছিল

Ans: অমৃত আর ইসাব জামা অদলবদল করার সময় একটা ছেলে । তা দেখে ফেলে । ছেলেটা যদি সকলকে ঘটনাটা বলে দেয় — এই আশঙ্কা করেই তারা চলে যেতে চেয়েছিল ।

  1. ওঁর শান্ত গলা শুনে ওদের চিন্তা হল , ‘ — বিষয়টি প্রশ্ন পরিস্ফুট করো  

Ans: কড়া ধাতের মানুষ ইসাবের বাবার আদুরে ডাক শুনে ইসাব আর অমৃত সেটাকে ভালোবাসার অভিনয় বলে মনে করেছিল ।

  1. উনি দশ বছরের অমৃতকে জড়িয়ে ধরলেন ! —কেন উদ্দিষ্ট ব্যক্তি এমন করেছিলেন ?

Ans: ইসাবকে বাবার হাতের মার খাওয়া থেকে বাঁচানোর তাগিদে অমৃত , ইসাবের জামা বদলে দেয় । আড়াল থেকে তা দেখে ইসাবের বাবা অমৃতকে জড়িয়ে ধরেন ।

  1. আমাকে শিখিয়েছে , খাঁটি জিনিস কাকে বলেখাঁটি জিনিসবলতে কী বোঝানো হয়েছে ?

Ans: ‘ অদল বদল ‘ গঙ্গে ইসাবের বাবা ‘ খাঁটি জিনিস ‘ বলতে অমৃতের অকৃত্রিম বন্ধুপ্রীতির প্রতি ইঙ্গিত করেছেন ।

  1. এবার অবশ্য ইসাব অমৃত অম্লস্তুত বোধ করল না . – কেন তারা অপ্রস্তুত বোধ করল ?

Ans: জামাবদলের ঘটনায় অমৃত ও ইসাব অভিভাবকদের ভর্ৎসনার ভয়ে প্রথমটায় অপ্রস্তুত হলেও পরে বাবা – মায়েদের কাছে এ কাজের প্রশংসা পেয়ে তাদের ওই অপ্রস্তুত ভাব কেটে গিয়েছিল ।

  1. উনি ঘোষণা করলেন , ‘ – কে , কী ঘোষণা করেছিলেন ?

Ans: অমৃত ও ইসাবের আমাবদলের সৌহার্দ্যপূর্ণ ঘটনার কথা গ্রামপ্রধানের কানে গেলে তিনি খুশি হয়ে অমৃতকে ‘ অদল ‘ আর ইসারকে ‘ বদল ‘ বলে ডাকার কথা ঘোষণা করেন ।

  1. কালিয়া জিতেছে , অমৃত হেরে গেছে , কী মজা , কী মজা কথা কে ? কোথায় বলেছে

Ans: পান্নালাল প্যাটেলের ‘ অদল বদল ‘ গল্প অনুসারে কালিয়া যখন খোলা মাঠের মধ্যে জোর করে অমৃতকে ছুড়ে ফেলে দিয়েছিল , তখন ছেলের দল আনন্দে চেঁচিয়ে উঠে উপরে উদ্ধৃত কথাগুলি বলেছিল ।

  1. কালিয়ামাটিতে পড়ে গিয়ে ট্যাচাতে লাগল কী কারণে চ্যাঁচাতে লাগল ?

Ans: ‘ অদল বদল ‘ গল্পে দেখা যায় বন্ধু অমৃতকে কালিয়ার হাতে হেরে যেতে দেখে ইসাব রেগে গিয়েছিল । সে তখন কালিয়াকে ধরে ল্যাং মেরে ফেলে দেয় । ব্যাঙের মতো হাত – পা ছড়িয়ে মাটিতে পড়ে গিয়ে কালিয়া চ্যাঁচাতে শুরু করেছিল ।

  1. গল্প শুনে তাঁদেরও বুক ভরে গেলকোন্ গল্প শুনে বুক ভরে গিয়েছিল ?

Ans: পান্নালাল প্যাটেলের ‘ অদল বদল ’ গল্প অনুসারে , ইসাবের বাবা পাঠানের মুখ থেকে অমৃত ও ইসাবের পারস্পরিক ভালোবাসার গল্প শুনে পাড়াপড়শি সকলের বুক ভরে গিয়েছিল ।

  1. কোন্ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অমৃত ইসাব জামা অদলবদলের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল  

Ans: পান্নালাল প্যাটেলের ‘ অদল বদল ‘ গল্প অনুসারে কুস্তির ফলে ইসাবের জামার পকেট ও ছ – ইঞ্চি পরিমাণ কাপড় ছিঁড়ে যাওয়ায় , ইসাবকে বাবার হাত থেকে বাঁচাতে ওরা দুজনে জামা অদলবদলের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ।

  1. ইসাব অমৃতের দিকে তাকালইসাবের অমৃতের দিকে তাকানোর কারণ কী ?

Ans: ‘ অদল বদল ‘ গল্পে দেখা যায় , হোলির দিন অমৃত ও ইসাব দুই বন্ধু সব দিক থেকে একইরকম জামা পরে ফুটপাতে এসে বসায় , ছেলেদের দলের একজন দুজনকে কুস্তি লড়তে বলে । এই কথা শুনে ইসাব অমৃতের দিকে তাকিয়েছিলেন ।

রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর | অদল বদল (গল্প) পান্নালাল প্যাটেলমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন উত্তর | Madhyamik Bengali Adal Badal Question and Answer :

1. ‘ হাত ধরাধরি করে অমৃত ইসাব ওদের কাছে এল — ‘ ওদেরবলতে কাদের কথা বোঝানো হয়েছে ? অমৃত ইসাবের পরিচয় দাও

Ans: পান্নালাল প্যাটেল রচিত ‘ অদল বদল ‘ গল্পে ‘ ওদের বলতে গ্রামের ছেলের দলকে বোঝানো হয়েছে । গল্পের মূল চরিত্র অমৃত ও ইসাবকে ঘিরে যে ঘটনাপ্রবাহ আবর্তিত হয়েছে , তাতে অনুঘটকের কাজ করেছে এই ছেলের দল । 

  → আলোচ্য গল্পে অমৃত ও ইসাব দুজনে অভিন্নহৃদয় বন্ধু । তারা উভয়েই দরিদ্র চাষি পরিবারের সন্তান । অভাবের কারণে তাদের পিতাদের ছোটোখাটো প্রয়োজনেও মহাজনের কাছে হাত পাততে হয় । ইসাব ও অমৃত একই স্কুলে , একই ক্লাসে পড়ে । রাস্তার মোড়ে দুটি মুখোমুখি বাড়িতে তাদের অমৃত ও ইসাবের বাস । অমৃতের বাড়িতে রয়েছেন বাবা – মা ও তিন ভাই এবং ইসাবের বাবা ছাড়া আর কেউই নেই । অমৃত ও ইসাবের এই নিখাদ বন্ধুত্বে আন্তরিক গভীরতা ছিল । তাই অমৃতের মার খাওয়ার আশঙ্কা থাকলেও কালিয়ার হাত থেকে অমৃতকে বাঁচাতে ইসাব ঝাঁপিয়ে পড়েছিল । আবার নতুন জামা ছিঁড়ে যাওয়ার অপরাধে বাবার হাতে মার খাওয়া থেকে ইসাবকে বাঁচাতে অমৃত তার নতুন জামাটি ইসাবকে পরতে দেয় । সে জামা নেওয়ার আগে ইসার জেনে নিতে চায় , ছেঁড়া জামা পরার জন্য অমৃতকে বকুনি খেতে হবে কিনা ।

ALSO READ :  "Madhyamik 2024 Physical Science Suggestion: Best Tips for Exam Preparation" মাধ্যমিক ভৌত বিজ্ঞান সাজেশন

2. ‘ অমৃতের অত জোর দিয়ে বলার কারণ ছিল।অমৃত কাকে , কী বলেছিল ? অমৃতের অত জোর দিয়ে বলার কী কারণ ছিল ?

Ans: পান্নালাল প্যাটেলের ‘ অদল বদল ’ গল্পটিতে অভিন্নহৃদয় দুই বন্ধু অমৃত আর ইসাব হোলির দিন একই রং , মাপ ও কাপড়ের তৈরি জামা পরে রাস্তায় বেরোলে তাদের দেখে গ্রামের অমৃত কাকে , কী ছেলেরা কিছুটা ঈর্ষান্বিত হয়ে পড়ে । একই রকম বলেছিল জামার মতো তাদের শারীরিক শক্তি একই রকম কিনা পরীক্ষার জন্য তারা দুজনকে কুস্তি লড়ার প্রস্তাব দেয় । অমৃত ইসাবের দিকে তাকিয়ে দৃঢ় স্বরে তাদের বলে , ‘ না , তাহলে মা আমাকে ঠ্যাঙ্গাবে । ‘ খুব সাধারণ দরিদ্র চাষি পরিবারের ছেলে অমৃত আর ইসাব । তাদের বাবারা যতটুকু আয় করেন তা দিয়ে তারা সংসার চালাতে হিমসিম খান । এমন পরিবারে উৎসব উপলক্ষ্যে নতুন জামা চাওয়া অমৃতের জোর দিয়ে মানে উৎপাত ছাড়া আর কিছুই নয় । এসব সত্ত্বেও বলার কারণ ইসাবের বাবা ইসাবকে নতুন জামা বানিয়ে দেন । ইসাবের জামা দেখে অমৃতও নতুন জামার আবদার করে মা – র কাছে । মা তাকে বোঝালেও নাছোড় অমৃতকে শেষপর্যন্ত তার মা – বাবাকে নতুন জামা দিতেই হয় । বহু কষ্টের এই জামা যাতে নষ্ট না হয় , সে ব্যাপারে অমৃতের মা – র কঠোর নির্দেশ ছিল । একদিকে বন্ধুত্ব ও অন্যদিকে মা – র কঠোর নির্দেশ , এই দুই কারণেই গ্রামের ছেলেদের কুস্তি লড়ার প্রস্তাব অমৃত জোরের সঙ্গে ফিরিয়ে দেয় ।

  • ছেলের দল আনন্দে চেঁচিয়ে উঠল , –ছেলের দলের আনন্দের কারণ ব্যাখ্যা করো এই আনন্দ স্থায়ী হয়েছিল কি ?

 অথবা , ‘ তামাশা করে হলেও এখন ব্যাপারটা ঘোরালো হয়ে পড়েছেতামাশা করে হওয়া ঘটনাটি ব্যস্ত করো ব্যাপারটাঘোরালো হয়ে পড়ল কেন ?

Ans: পান্নালাল প্যাটেলের ‘ অদল বদল ‘ গঙ্গে হোলির দিন ভিন্ন সম্প্রদায়ের অভিন্ন হৃদয়ের অধিকারী দুই বন্ধু অমৃত আর ইসাব একই রঙের , একই মাপের নতুন জামা পরে বেরোয় । গ্রামের দুষ্টু ছেলেরা তা দেখে মজা পায় এবং তাদের শারীরিক শক্তিও একই রকম কিনা জানার জন্য অমৃতকে কুস্তি লড়ার প্রস্তাব দেয় । একদিকে বন্ধুত্ব আর অন্যদিকে মা – র জামা ময়লা বা নষ্ট না হওয়ার কঠোর নির্দেশ — এই দুই কারণে অমৃত কুস্তি লড়ার প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয় । কিন্তু নাছোড় ছেলের দল তাকে জোর করে মাঠে নিয়ে যায় । সেখানে কালিয়া তাকে জোর করে মাটিতে ফেলে দেয় । অমৃত যে কালিয়ার কাছে হেরে গেছে এই দেখে ছেলের দল আনন্দ করতে থাকে । 

  ছেলের দলের এই আনন্দ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি । কারণ প্রিয় বন্ধু অমৃতের দুর্দশা দেখে ইসাব চুপ থাকতে পারেনি । সে কালিয়াকে ল্যাং মেরে মাটিতে ফেলে দেয় । কালিয়া কাঁদতে থাকে । মুহূর্তের মধ্যে ছেলের দল – সহ ইসাব , অমৃতও সে স্থান ত্যাগ করে কালিয়ার মা – বাবার ভয়ে । এভাবেই ব্যাপারটি ঘোরালো হয়ে ওঠে ।

4. ‘ ইসাবের বাবা ছেঁড়া শার্ট দেখা মাত্র ওর চামড়া তুলে নেবে বিষয়টি স্পষ্ট করো এই পরিণতি থেকে রক্ষা পেতে তারা কোন্ পথ অবলম্বন করেছিল ?

Ans: পান্নালাল প্যাটেলের ‘ অদল বদল ’ গল্পের দুই কেন্দ্রীয় চরিত্র অমৃত ও ইসাব দরিদ্র কৃষক পরিবারের সন্তান । তাদের বাবাদের দারিদ্র্য এতটাই যে হোলি উপলক্ষ্যে ছেলেদের নতুন জামা তৈরির জন্যও মহাজনদের কাছে তাদের হাত পাততে হয়েছে । এমন পরিবারের ছেলেরা যদি নতুন জামা ছিঁড়ে ফেলে তবে সেটা যে ক্ষমাহীন অপরাধের মধ্যে পড়ে তা বলার অপেক্ষা রাখে না । নতুন জামা পরে অমৃত ও ইসাব দুই বন্ধু রাস্তায় বের হলে একদল দুষ্টু ছেলের মাথায় মতলব আসে তাদের শক্তি পরীক্ষার । তারা অমৃত ও ইসাবকে কুস্তি লড়ার প্রস্তাব দেয় । অমৃত এতে রাজি না হওয়ায় তারা তাকে রাস্তায় ফেলে আনন্দ করতে থাকে । বন্ধুর হেনস্থা দেখে ইসাব প্রতিশোধ নিতে মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে । তার নতুন জামা ছিঁড়ে যায় । কষ্টের টাকায় কেনা জামা ছিঁড়ে ফেলায় ইসাবকে যে বাবার হাতে মার খেতে হবে সেই আশঙ্কার কথাই এখানে বলা হয়েছে । 

   এই পরিণতি থেকে বাঁচতে বুদ্ধি করে দুই বাড়ির মাঝে এক নির্জন স্থানে অমৃত তার অক্ষত জামাটি ইসাবের গায়ে তুলে দেয় আর তার ছেঁড়া জামাটা নিজে পরে নেয় ।

5. ‘ আমাকে শিখিয়েছে , খাঁটি জিনিস কাকে বলে ? ‘ খাঁটি জিনিসবলতে কী বোঝানো হয়েছে ? তা কে , কাকে , কীভাবে শিখিয়েছে ?

Ans: পান্নালাল প্যাটেলের ‘ অদল বদল ‘ গল্পে উদ্ধৃত অংশটির বন্ধা হলেন ইসাবের বাবা পাঠান । এক্ষেত্রে যে – দুটি খাঁটি জিনিসের কথা বলা হয়েছে তার মধ্যে একটি হল মায়ের স্নেহ ও ভালোবাসা যা পিতার কাছে সর্বদা মেলে না । আর অন্যটি হল নিখাদ বন্ধুত্ব যেটি অভিন্নহৃদয়ের দুই বন্ধু অমৃত ও ইসাবের মধ্যে দেখা গিয়েছিল ।

   আলোচ্য গল্পে দশ বছরের বালক অমৃত তার অভিন্নহৃদয়ের বন্ধু ইসাবের বাবা পাঠানকে এ কথা বুঝিয়েছিল যে , খাঁটি জিনিস বলতে কী বোঝায় । অমৃত ও ইসাবের বন্ধুত্বের শিকড় যে কত গভীর তা বোঝা যায় । তখন , যখন অমৃত কালিয়ার হাতে মার খেয়ে পড়ে গেলে ইসাব ক্রুদ্ধ হয়ে ওঠে এবং অমৃতকে বাঁচাতে গিয়ে মারপিটে জড়িয়ে পড়ে সে তার জামা ছিঁড়ে ফেলে । অমৃত ইসাবকে বাঁচাতে তার ভালো জামাটা ইসাবকে দিয়ে দেয় । ইসাব প্রশ্ন তোলে অমৃতকেও তো মার খেতে হতে পারে । অমৃত তখন জানায় তাকে রক্ষার জন্য তার মা আছেন কিন্তু ইসাবের তো মা নেই । আড়াল থেকে শোনা অমৃতের কথাগুলো ইসাবের বাবাকে ভাবিয়ে তুলেছিল । তিনি বুঝেছিলেন মাতৃহারা সন্তানের পিতাকে শুধু পিতা নয় মা – ও হয়ে উঠতে হবে । এ ছাড়া দুই বন্ধুর বন্ধুত্বের গভীরতা ইসাবের বাবার মনের পরিবর্তন এনে দিয়েছেন । 

6. ‘ অদল বদলগল্পে অমৃত চরিত্রটি বিশ্লেষণ করো  

Ans: ‘ অদল বদল ‘ গল্পের অন্যতম কেন্দ্রীয় চরিত্র অমৃত । গল্পের শুরুতে গরিব ঘরের এই ছেলেটিকে জেদি , একগুঁয়ে ও অবুঝ প্রকৃতির মনে হয় । যেভাবে নতুন জামা পাওয়ার জন্য বাড়িতে সে উৎপীড়ন চালিয়েছে তা দেখে পাঠকের খারাপ লাগতেই পারে , কিন্তু যেহেতু সে ছেলেমানুষ তাই চরিত্রটি অস্বাভাবিক লাগেনি বরং খুব চেনাই লেগেছে ।

   বাবা – মাকে মানসিকভাবে উৎপীড়ন করে সে যে জামা আদায় করে তা কিন্তু বন্ধু ইসাবের জামা দেখেই । কিন্তু গল্প যত এগিয়েছে পাঠকের কাছে ধীরে ধীরে অমৃতের স্বরূপ উন্মোচিত হয়েছে । অমৃতকে নতুন করে পাই , যখন কালিয়ার সঙ্গে তার হয়ে লড়াই করতে গিয়ে ইসাবের জামা ছিঁড়ে গেলে বাবার বন্ধুবৎসল হাতের মার খাওয়া থেকে বাঁচাতে ইসাবকে নিজের জামাটি সে দিয়ে দেয় । অমৃত বুঝেছিল বাবার হাত থেকে তাকে বাঁচানোর জন্য তার মা আছে কিন্তু ইসাবের কেউ নেই । অমৃতের চরিত্রে সহানুভূতিশীল মাতৃভক্তি , বন্ধুপ্রীতি ও ঔদার্যের পরিচয় পাওয়া যায় ।

ALSO READ :  West Bengal Madhyamik Class 10th Bengali Afrika Question and Answer

  গল্পের মুখ্য উপজীব্য যে বন্ধুত্ব তা প্রতিষ্ঠাতে অমৃতের ভূমিকা যথেষ্ট । সে শুধু জামা অদলবদল ঘটায়নি সমগ্র সমাজের মানসিকতার বদল ঘটিয়েছিল ।

7. ইসাবের বাবার চরিত্রটি আলোচনা করো

Ans: পান্নালাল প্যাটেলের ‘ অদল বদল ‘ গল্পে ইসাবের বাবা হাসান পাঠান একটি গুরুত্বপূর্ণ পার্শ্বচরিত্রের ভূমিকা পালন করেছেন । ইসাবের বাবা একজন দরিদ্র চাষি । কারণে – অকারণে মহাজনের কাছে হাত পাততে হয় তাঁকে । অভাব তাঁর নিত্যসঙ্গী হলেও হোলি উৎসব । উপলক্ষ্যে পুত্র ইসাবকে নতুন জামা তৈরি করে দেওয়ার মধ্যে , এক স্নেহশীল পিতা হিসেবেই তাঁকে দেখা যায় । বিপত্নীক হাসান নিজেকে সর্বদা ঠিক রাখতে না পেরে মাঝে মাঝে ছেলেকে শাসন করেছেন , তবে তা অন্তর থেকে নয় । অভাবের সংসারে তিনি ছেলেকে খেতে কাজ করাতেও বাধ্য হয়েছেন । 

  ইসাবের বাবার সংবেদনশীল মনের পরিচয় পাওয়া যায় , ছোট্ট অমৃতের সংবেদনশীল কথা … কিন্তু আমাকে বাঁচানোর জন্য তো আমার মা আছে ’ , শোনার পর উপলব্ধি করেন যে , মা – হারা ছেলের বাবাকে মা – বাবার দ্বৈত ভূমিকা পালন করতে হয় । 

  তিনি আবেগে আপ্লুত হয়ে অমৃতের মায়ের কাছ থেকে অমৃতকেই চেয়ে বসেন । তার মন এতটাই পুলকিত হয়েছিল যে , অমৃতের কথা তিনি সকলকে বলতে থাকেন । এক্ষেত্রে তার মধ্যে একটা শিশুসুলভ আবেগ লক্ষ করা যায় । আবেগপ্রবণ ও শিশুসুলভ উদার পিতৃহদা ও অসাম্প্রদায়িক মন আসলে তিনি একাধারে যেমন উদার পিতৃহৃদয়ের অধিকারী তেমনই তাঁর মধ্যে রয়েছে একটি অসাম্প্রদায়িক মন । তাই ছোট্ট দুটি ছেলের মধ্যে জামা অদলবদলের ঘটনা দেখে তিনি অতিসহজেই অমৃতের হৃদয়ের মাতৃভক্তি , বন্ধুপ্রীতি ও অকৃত্রিম ভালোবাসার মতো ‘ খাঁটি জিনিস ’ – টিকে চিনে নিয়েছেন । তাঁর প্রশংসার ফলেই অদলবদলের ঘটনা গোটা গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে । তিনি নিজেও স্বার্থহীন ও অসাম্প্রদায়িক তাই ছোট্ট অমৃতের কাছ থেকে ভালোবাসা ও উদারতার শিক্ষা নিয়ে নিজেকে বদলে ফেলে , তিনি নিজেও একটি মহৎ চরিত্র হয়ে উঠেছেন ।

8. অমৃতের মায়ের চরিত্রটি আলোচনা করো  

Ans: ‘ অদল বদল ‘ গল্পের একমাত্র নারীচরিত্র হলেন অমৃতের মা । একদিকে দরিদ্র পরিবারের টানাটানি , অন্যদিকে বিবেচক অমৃত – সহ চার সন্তানের অভাব – অভিযোগ – আবদার সামলানোর অভ্যেস এ দুই – ই তাঁর রয়েছে । 

  অমৃত নতুন জামার জন্য গোঁ ধরায় প্রথমে তিনি তাকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে নিরস্ত করতে চান । এমনকি ভর্ৎসনা ও প্রহারের ভয়ও দেখান । এতেও কাজ না হলে তিনি অমৃতকে কায়দা করে বাবার কাছে পাঠাতে চান । তিনি জানতেন , যে আবদার আদর ও শাসনের সাম্য রক্ষাকারী অমৃত তার কাছে করছে , তা সে তার বাবার কাছে করতে পারবে না । এতেও সফল না হলে এবং অমৃত নানাভাবে তাঁদের মানসিক উৎপীড়ন করতে থাকলে , আবার তিনিই অমৃতের বাবাকে জামার জন্য রাজি করান । তাঁর দায়িত্ববোধ , আদর ও শাসনের সমতা তাঁর পুত্র অমৃতকেও , তাঁর উপর নির্ভরশীল করে তোলে । অমৃত জানত , মা যতই শাসন করুন না কেন , দিনের শেষে তিনিই নির্ভরযোগ্য তার একমাত্র আশ্রয় । এই মাতৃমূর্তি চিরন্তনী । তাঁর কোনো নাম প্রয়োজন ছিল না , যদিও ইসাবের বাবাকে শোনা যায় তাঁকে ‘ বাহালি বৌদি ‘ বলে ডাকতে । মোটের ওপর ভালোবাসা ও মমতা দিয়ে গড়া এক স্বয়ংসম্পূর্ণ মা হয়ে উঠেছে অমৃতের মায়ের চরিত্রটি । 

9. ‘ অদল বদলগল্পের নামকরণ কতখানি সার্থক হয়েছে , তা আলোচনা করো

Ans: নামকরণের সার্থকতা ‘ অংশটি দ্যাখো ।

10. ‘ অমৃত সত্যি তার বাবামাকে খুব জ্বালিয়েছিল অমৃত কাভাবে বাবামাকে জ্বালাতন করেছিল ? অবশেষে অমৃতের মা কী করেছিলেন ?

Ans: অমৃতের বাবা – মাকে জ্বালাতন উত্তর অমৃত আর ইসাব – দুজন খুব ভালো বন্ধুর গল্প পান্নালাল প্যাটেলের ‘ অদল বদল ‘ গল্পটি । পরস্পরের বন্ধুত্ব যেমন গাঢ় তেমনই পোশাক – পরিচ্ছদ হেতু পরস্পরের রেষারেষি বেশ প্রবল । দুজনের বাবাই খেত মজুর । খেতে কাজ করতে গিয়ে ইসাবের জামা ছিঁড়ে যাওয়ার তার বাবা তাকে নতুন জামা কিনে দিলে তার দেখাদেখি অমৃতেরও নতুন জামা কেনার জন্য বাবা – মার কাছে জেদ করে । ফতোয়া জারি করে নতুন জামা কিনে না দিলে সে স্কুলে যাবে না । তার যে নতুন জামা নেই তা বোঝাতে নিজের জামার আবিষ্কার করে কোনো ছোটো একটা ছেঁড়া জায়গা , যাতে আঙুল ঢুকিয়ে সেই জায়গাকে আরও ছিড়ে দেয় । মা অনেকভাবে অমৃতকে বোঝানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন , সে খাওয়াদাওয়া ছেড়ে দেয় , রাতে বাড়ি ফিরতেও চায় না ; ইসাবদের গোয়ালে লুকিয়ে থাকে । এভাবেই অমৃত তার বাবা – মাকে জ্বালাতন করত । 

  অমৃতের মা অমৃতকে তার এই জেদের জন্য বেকায়দায় ফেলতে কৌশলে নতুন জামা কেনার ব্যাপারে তার বাবার কাছে বলতে বলেন । এও বলেন , ইসাবকে জামা কিনে দেওয়ার আগে তার বাবা তাকে খুব মেরেছিল । এক্ষেত্রে অবশ্য অমৃত মার খেতেও রাজি হয়ে যায় । অমৃতের মা জানতেন , অমৃত বাবার মুখের উপর কথা বলবে না , আর অমৃত জানত মা যদি জামা কেনার ব্যাপারে না – বলেন , তবে তার বাবার রাজি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম । অবশেষে অমৃতের মা হাল ছেড়ে দিয়ে অমৃতের বাবাকে রাজি করিয়েছিলেন তাকে জামা কিনে দেওয়ার জন্য ।

11. ‘ অদল বদলগল্পে অতিসাধারণ একটি কাহিনির আশ্রয় নিয়ে লেখক যে

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির প্রতি আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করাতে চেয়েছেন বুঝিয়ে দাও

Ans: পান্নালাল প্যাটেলের ‘ অদল বদল ‘ গল্পটি গড়ে উঠেছে অমৃত আর ইসাবের বন্ধুত্বকে কেন্দ্র করে । অমৃত ও ইসাব দুই বন্ধু । তারা একই স্কুলে একই শ্রেণিতে পড়ে । মুখোমুখি বাড়িতে থাকে । দুজনই অভাবী চাষির বাড়ির ছেলে । ইসাবের বাবা ছেলের জামা ছিঁড়ে যাওয়ায় সুদখোরের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে অনেক বাছাবাছি করে , ইসারকে একটি জামা তৈরি করে দেয় । সেই দেখে অমৃতও জেদ ধরে তারও নতুন জামা চাই । সে অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে বাবা – মায়ের কাছ থেকে ঠিক একইরকম একটি জামা আদায় করে । দুই বন্ধু হোলির দিন বিকেলে নতুন জামা গায়ে দিয়ে বেরোয় । কিন্তু দুষ্টু ছেলেদের একটি দল পেছনে লাগে । কালিয়া বলে একটি ছেলে অমৃতকে ধরে মাঠের মধ্যে ছুড়ে ফেলে দেয় । এর প্রতিবাদে ইসাব তাকে ল্যাং মারে । তবে ধস্তাধস্তিতে ইসাবের নতুন জামাটি ছিঁড়ে যায় । দুজনেই জামা ছেঁড়ার কারণে বাড়ি ফিরতে ভয় পায় । তখন অমৃত নিজের অক্ষত জামাটি ইসাবকে দিয়ে , সে তার ছেঁড়া জামাটি পরে । কারণ অমৃতকে বাবার হাত থেকে মা বাঁচালেও মাতৃহীন ইসাবকে বাঁচানোর কেউ ছিল না । ছোট্ট ছেলেদুটির এই কাণ্ড ইসাবের বাবা হাসান দেখে ফেলে । ভালোবাসা আর বন্ধুত্বের এমন আশ্চর্য নিদর্শন দেখে তার অবাক লাগে । ক্রমে হাসানের মুখ থেকে পাড়া – প্রতিবেশী হয়ে এ ঘটনার কথা গোটা গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে । মুগ্ধ গ্রাম – প্রধান দুজনের নাম দেন অদল বদল । বিশ্বাস – স্বার্থ – শূন্যতা ও ভালোবাসা যে ধর্ম – সম্প্রদায়ের সংকীর্ণ ভেদাভেদের ঊর্ধ্বে , এই গল্পে তাই প্রমাণ করে । গল্পকার অমৃত ও ইসাবের পারস্পরিক সম্পর্ক এবং নির্ভরতার মাধ্যমে বুঝিয়ে দেন ; মানুষের মানবিকতার সম্বন্ধ সাম্প্রদায়িক বিভাজনের অনেক ঊর্ধ্বে প্রতিষ্ঠিত ।

*There will be much more sections divided into the above syllabus which will be told in Live Session

You can Purchase our Courses:         

  • 10th – 12th exam Preparation
    • JEE / NET Preparation
      • Govt. Job exam Preparation
        • Computer Courses
        • Engineering Courses

The session will be conducted on “Cademy” Mobile App.

                    

Do Subscribe our YouTube Channel for Free Classes:  @cademyindia

Contact for any Support :                Cademy India Pvt. Ltd.

support@cademy.in

+91-700-1237600

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.