Madhyamik class 10th Bengali Abhishek Question and Answer
3 mins read

Madhyamik class 10th Bengali Abhishek Question and Answer

Spread the love
  • অভিষেক (কবিতা) মাইকেল মধুসূদন দত্ত

মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Bengali Abhishek Question and Answer

  • MCQ | অভিষেক (কবিতা) মাইকেল মধুসূদন দত্তমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন উত্তর | Madhyamik Bengali Abhishek Question and Answer :
  1. মধুসূদনের অভিষেকনামাঙ্কিত পাঠ্য অংশটি কোন্ কাব্য থেকে নেওয়া

(A) হেক্টরবধ কাব্য   (B) তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য  (C) মেঘনাদবধ কাব্য   (D) ব্রজাঙ্গনা কাব্য

Ans: (C) মেঘনাদবধ কাব্য

  • মেঘনাদবধ কাব্য ‘ – টির প্রকাশকাল – 

(A) ১৮৬২ খ্রিস্টাব্দ   (B) ১৮৬৫ খ্রিস্টাব্দ   (C) ১৮৬১ খ্রিস্টাব্দ  (D) ১৮৭২ খ্রিস্টাব্দ 

Ans: (C) ১৮৬১ খ্রিস্টাব্দ

  • টি সর্গে বিভক্তঅভিষেকশীর্ষক কাব্যাংশটি কোন্ সর্গ থেকে গৃহীত

(A) প্রথম সর্গ   (B) নবম সর্গ   (C) চতুৰ্থ সৰ্গ   (D) সপ্তম সর্গ 

Ans: (A) প্রথম সর্গ

  • – নীচের কোন্ নাটকটি মদুসূদনের নয়

(A) শর্মিষ্ঠাm  (B) নরনারায়ণ   (C) পদ্মাবতী   (D) ব্রজাঙ্গনা 

Ans: (B) নরনারায়ণ 

  • মধুসূদন দত্ত রচিত প্রহসনটি হল

(A) একেই কি বলে সভ্যতা   (B) আনন্দ বিদায়  (C) সধবার একাদশী   (D) চিরকুমার সভা 

Ans: (A) একেই কি বলে সভ্যতা

  • মাইকেল মধুসূদন দত্তের মৃত্যু হয়— 

(A) ১৮৭৩ , ২৯ জুন   (B) ১৮৭৫ , ৩০ জুন   (C) ১৮৭৪ , ২৮ জুলাই   (D) ১৮৭২ , ৩০ জুন

Ans: (A) ১৮৭৩ , ২৯ জুন

  • কনকআসন ত্যজি , বীরেন্দ্রকেশরী ‘ — বীরেন্দ্রকেশরী হলেন— 

(A) ইন্দ্ৰজিৎ   (B) রাবণ   (C) রাঘব   (D) কুম্ভকর্ণ 

Ans: (A) ইন্দ্ৰজিৎ

  • মধুসুদন যেছন্দের জনক , তা হল – 

(A) পাদাকুলক ছন্দ   (B) গদ্য ছন্দ  (C) অমিত্রাক্ষর ছন্দ   (D) মাত্রাবৃত্ত ছন্দ

Ans: (C) অমিত্রাক্ষর ছন্দ

  • ধাত্রী প্রভাষার ছদ্মবেশে ইন্দ্রজিতের কাছে এসেছিলেন 

(A) দেবী সরস্বতী  (B) দেবী দুর্গা   (C) দেবী লক্ষ্মী   (D) দেবী চণ্ডী 

Ans: (C) দেবী লক্ষ্মী

  1. অম্বুরাশিসুতা , ভগবতী ইন্দিরা সুন্দরী হলেন আসলে – 

(A) দেবী লক্ষ্মী   (B) দেবী চণ্ডী   (C) দেবী মনসা   (D) দেবী দুর্গা 

Ans: (A) দেবী লক্ষ্মী

  1. অম্বুরাশিসুতা যার মৃত্যুসংবাদ দিলেন 

(A) রাবণের   (B) বীরবাহুর   (C) বিভীষণের  (D) রাঘবের

Ans: (B) বীরবাহুর

  1. সসৈন্যে সাজেন আজি ____ আপনি ‘ ( শূন্যস্থান

(A) খেলিতে  (B) বধিতে   (C) মারিতে   (D) যুঝিতে

Ans: (D) যুঝিতে

  1. মহাবাহু হলেন – 

(A) রামচন্দ্র  (B) রাবণ   (C) ইন্দ্ৰজিৎ 

(D) বীরবাহু 

Ans: 

  1. _____ সংহারিনু আমি রঘুবরে ; ( শূন্যস্থান

(A) নিশা – রণে   (B) অপরাহ্ণ রণে   (C) দিবা – রণে   (D) মধ্যাহ্ন রণে

Ans: (A) নিশা – রণে

  1. বৈরীদলশব্দের অর্থ— 

(A) মিত্রদল  (B) শত্রুদল   (C) ভ্রাতৃদল  (D) বন্ধুদল

Ans: (B) শত্রুদল

  1. বারতা , অদ্ভুত বারতা ____ ( শূন্যস্থান

(A) জননী  (B) ভগবতী   (C) রাক্ষসী  (D) মাতঃ

Ans: (A) জননী

  1. কোথায় পাইলে তুমি , শীঘ্ৰ কহ দাসে ’— দাস হলেন – 

(A) লক্ষ্মণ   (B) ইন্দ্ৰজিৎ   (C) রাবণ   (D) বিভীষণ

Ans: (B) ইন্দ্ৰজিৎ

  1. রক্ষ রক্ষঃকুলমান ‘ — রক্ষকুলের মান রক্ষা করবেন

(A) রাবণ  (B) লক্ষ্মণ   (C) ইন্দ্ৰজিৎ   (D) বিভীষণ

Ans: (C) ইন্দ্ৰজিৎ

  1. রক্ষঃচূড়ামণিশব্দের অর্থ

(A) রাক্ষসকুলের শিরোমণি   (B) রাক্ষসকুলের ক্ষেত্রমণি   (C) রাক্ষসকুলের রক্ষামণি   (D) রাক্ষসকুলের সৈন্যমণি

Ans: (A) রাক্ষসকুলের শিরোমণি

  • রোষে কুসুমদাম ছিড়ল

(A) মেঘনাদ   (B) রামচন্দ্র  (C) কুম্ভকর্ণ   (D) রাবণ 

Ans: (A) মেঘনাদ

  • পদতলে পড়ি শোভিল কুণ্ডল , –’কুণ্ডলশব্দের অর্থ

(A) কর্ণভূষণ   (B) নূপুর   (C) কণ্ঠহার   (D) কঙ্কণ 

Ans: (A) কর্ণভূষণ

  • ____ বেড়ে স্বর্ণলঙ্কা ‘ ( শূন্যস্থান )

(A) বামাদল   (B) কর্পূরদল   (C) বৈরীদল   (D) রাক্ষসদল

Ans: A) বামাদল

  • হেথা আমি বামাদল মাঝে ? ‘ — ‘ বামাশব্দের অর্থ – 

(A) রাক্ষস   (B) পুরুষ   (C) নারী   (D) দেবী

Ans: (C) নারী

  • দশাননাত্মজহলেন – 

(A) রাম   (B) বিভীষণ  (C) ইন্দ্ৰজিৎ  (D) লক্ষ্মণ

Ans: (C) ইন্দ্ৰজিৎ

  • ত্বরা করে আনতে বলা হয়েছে

(A) রথ   (B) পালকি   (C) ঘোড়া   (D) হাতি

Ans: (A) রথ

  • ঘুচাব অপবাদ , বধি _____

(A) অসুরকুলে   (B) দেবকুলে   (C) বানরকুলে   (D) রিপুকুলে

Ans: (D) রিপুকুলে

  • সাজিলা রথীন্দ্রষভ’- ‘ রথীন্দ্রবর্ষশব্দের অর্থ

(A) এক শ্রেষ্ঠ বীর   (B) শ্রেষ্ঠ দেবতা   (C) শ্রেষ্ঠ রথী  (D) শ্রেষ্ঠ অসুর 

Ans: (A) এক শ্রেষ্ঠ বীর

  • হৈমবতীসুতহলেন— 

(A) গণেশ   (B) কার্তিকেয়  (C) অর্জুন   (D) গরুড়

Ans: (B) কার্তিকেয়

  • বৃহন্নলারূপী কিরীটি , ‘ — ‘ কিরীটিহলেন

(A) রাবণ   (B) ইন্দ্ৰজিৎ   (C) অর্জুন   (D) বিভীষণ 

Ans: (C) অর্জুন

  • বৃহন্নলারূপী কিরীটির গোধন উদ্ধারের সঙ্গী ছিলেন— 

(A) এক বিরাট পুত্র   (B) পবনপুত্র   (C) রাবণপুত্র   (D) চিত্রাঙ্গদাপুত্র 

Ans: (A) এক বিরাট পুত্র

  • উদ্ধারিতে গোধন , সাজিলা শূর , _____ ” ( শূন্যস্থান ) 

(A) বটবৃক্ষমূলে   (B) নিমবৃক্ষমূলে  (C) শমীবৃক্ষমূলে   (D) কদমবৃক্ষমূলে 

Ans: (C) শমীবৃক্ষমূলে

  • মেঘবর্ণ রথ ; চক্র _____

(A) রামধনুর ছটা  (B) বিজলির ছটা   (C) স্বর্ণময় ছড়া   (D) ময়ূর পেখম

Ans: (B) বিজলির ছটা

  • ধ্বজ ইন্দ্ৰচাপরূপী ; —– ইন্দ্ৰচাপরূপীবলতে বোঝায় 

(A) রামধনুরূপীকে  (B) জ্যোৎস্নারূপীকে   (C) মেঘরূপীকে  (D) রাত্রিরূপীকে

Ans: (A) রামধনুরূপীকে

  • আশুগতি বেগে ছুটছে যেন

(A) ব্যাঘ্র   (B) তুরঙ্গম   (C) রথ   (D) হস্তী

Ans: (B) তুরঙ্গম

  • রথে চড়ে বীরচূড়ামণি বীরদর্পে , —’বীরচূড়ামণিবলতে বলা হয়েছে – 

(A) বিভীষণ   (B) ইন্দ্রজিৎ  (C) রামচন্দ্র   (D) রাবণ 

Ans: (B) ইন্দ্রজিৎ

  • হেমলতা আলিদায়ে তরুকুলেশ্বরে ‘ — ‘ হেমলতাহল

(A) স্বর্ণলতা   (B) অপরাজিতা   (C) মাধবীলতা   (D) সন্ধ্যামণি 

Ans: (A) স্বর্ণলতা

  • কহিলা কাঁদিয়া ধনি ; ‘ — ‘ ধনিশব্দের অর্থ— 

(A) যুবতি  (B) সৌন্দর্যময়ী   (C) অর্থময়ী   (D) দেবী

Ans: (B) সৌন্দর্যময়ী

  • কোথা প্রাণসখে , রাখি দাসীরে , ‘ —এখানেদাসীবলতে বোঝাচ্ছে – 

(A) প্রমীলাকে  (B) চিত্রাঙ্গদাকে   (C) সীতাকে  (D) নিকষাকে

Ans: (B) চিত্রাঙ্গদাকে

  • ‘ গহন কাননে ,_____ বাঁধিলে সাধে করি – পদ , ‘ ( শূন্যস্থান ) 

(A) বেড়া জালে   (B) ফাঁদ পেতে   (C) ব্রততী  (D) সাপটি

Ans: (C) ব্রততী

  • তবে কেন তুমি , গুণনিধি , ‘ —’গুণনিধিবলতে বোঝানো হয়েছে

(A) রামচন্দ্রকে   (B) ইন্দ্ৰজিৎকে   (C) পবনকে   (D) রাবণকে 

Ans: (B) ইন্দ্ৰজিৎকে

  • তাজ কি কিঙ্করীরে আজি ? ‘ — ‘ কিঙ্করীশব্দের অর্থ— 

(A) কিন্নরী  (B) সেবিকা  (C) কিঙ্কিণি   (D) ললনা

Ans: (B) সেবিকা

  • ইন্দ্ৰজিতে জিতি তুমি , সতী , —’সতীবলতে বলা হয়েছে – 

(A) নিকষাকে  (B) সরমাকে  (C) প্রমীলাকে  (D) চিত্রাঙ্গদাকে 

Ans: (C) প্রমীলাকে

  • জ্বরায় আমি আসিব ফিরিয়া কল্যাণী’— এখানেকল্যাণীহলেন – 

(A) প্রমীলা   (B) অমলা   (C) বিমলা   (D) সরলা 

Ans: (A) প্রমীলা

  • ইন্দ্রজিৎ সমরে , নাশ করতে চলেছে

(A) লক্ষ্মণকে   (B) রাঘবকে   (C) যদুনন্দনকে   (D) পবনকে

Ans: (B) রাঘবকে

  • বিদায় এবে দেহ _____ ( শূন্যস্থান

(A) চাঁদমুখী  (B) বিধুমুখী   (C) শশীমুখী  (D) জ্যোৎস্নামুখী 

Ans: (B) বিধুমুখী

  • অম্বর উজলি ! ‘ — ‘ অম্বরশব্দের অর্থ হল – 

(A) বাতাস   (B) আগুন   (C) আকাশ   (D) বন্যা 

Ans: (C) আকাশ

  • শিখিনী আকর্ষি রোষে , ‘ — ‘ শিঞ্জিনীশব্দের অর্থ হল – 

(A) ধনুকের ছিলা   (B) অসি   (C) তূণ   (D) দুন্দুভি 

Ans: (A) ধনুকের ছিলা

  • ‘ ______ যথা নাদে মেঘ মাঝে ভৈরবে ‘ ( শূন্যস্থান

(A) শুরেন্দ্র   (B) রাঘবেন্দ্র  (C) পক্ষীন্দ্ৰ   (D) বীরেন্দ্র

Ans: (C) পক্ষীন্দ্ৰ

  • উড়িছে কৌশিকধ্বজ ; ‘ – ‘ ধ্বজশব্দের অর্থ – 

(A) দামামা   (B) পতাকা   (C) কনক   (D) আসন

Ans: (B) পতাকা

  • নাদিলা কর্পূরদল ‘ — ‘ কর্পূরদলবলতে বোঝানো হয়েছে

(A) দেবতাবৃন্দকে  (B) হনুমানবৃন্দকে   (C) রাক্ষসবৃন্দকে   (D) মানববৃন্দকে

Ans: (C) রাক্ষসবৃন্দকে

  • নাদিলা কর্পূরদল হেরি বীরবরে মহাগর্বে — ‘ বীরবরহলেন— 

(A) ইন্দ্ৰজিৎ  (B) রাবণ   (C) লক্ষ্মণ   (D) বিভীষণ 

Ans: (A) ইন্দ্ৰজিৎ

  • মরে নাকি পুনরায় বেঁচে উঠেছে – 

(A) লক্ষ্মণ   (B) বীরবাহু  (C) রাঘব   (D) পবন

Ans: (C) রাঘব

অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর | অভিষেক (কবিতা) মাইকেল মধুসূদন দত্তমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন উত্তর | Madhyamik Bengali Abhishek Question and Answer :

  1. মেঘনাদবধ কাব্য ‘ – এর প্রথম সর্গটির নাম লেখো কাব্যের মোট টি সর্গ

Ans: মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত ‘ মেঘনাদবধ কাব্য ‘ – এর প্রথম সর্গের নাম ‘ অভিষেক । এ কাব্যের মোট সর্গ সংখ্যা ন – টি ।

  • অভিষেকরচনাংশটিতে কার অভিষেকের কথা বলা হয়েছে

Ans: মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘ অভিষেক ‘ রচনাংশটিতে রক্ষরাজ রাবণের পুত্র ইন্দ্রজিতের অভিষেকের কথা বলা হয়েছে ।

  • ইন্দ্ৰজিৎ কে

Ans: রাবণ ও মন্দোদরীর সন্তান মেঘনাদ দেবরাজ ইন্দ্রকে জয় করেছিলেন বলে বীরশ্রেষ্ঠ ‘ ইন্দ্রজিৎ ‘ নাম গ্রহণ করেছিলেন । 

  • কাকে বীরেন্দ্রকেশরী বলা হয়েছে

Ans: মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত ‘ অভিষেক ’ নামাঙ্কিত অংশে বীরেন্দ্রকেশরী বলা হয়েছে রাবণপুত্র ইন্দ্রজিৎকে । বীরেন্দ্রকেশরীর অর্থ বীরসিংহ । 

  • প্রণমিয়া ধাত্রীর চরণে , / কহিলা , – ধাত্রী আসলে কে এবং তাকে কী বলা হয়েছে

Ans: মধুসূদনের অভিষেক ‘ কাব্যাংশে প্রভাষার ছদ্মবেশিনী ধাত্রী আসলে দেবী লক্ষ্মী । প্রমোদোদ্যানে মেঘনাদ তাঁকে দেখে সেখানে আগমনের কারণ ও লঙ্কার কুশল জিজ্ঞাসা করেছিলেন । 

  • ইন্দ্রজিৎ ধাত্রীর চরণে প্রণাম করে তাকে কী বলে সম্বোধন করেন

Ans: ‘ অভিষেক ’ নামাঙ্কিত রচনাংশে ধাত্রী ছদ্মবেশধারী লক্ষ্মীর চরণে প্রণাম করে তাকে ‘ মাতঃ ‘ বলে সম্বোধন করেন । 

  • অম্বুরাশিসুতা কার ছদ্মবেশ ধারণ করেছিলেন ?

Ans: মধুসুদনের ‘ অভিষেক ‘ কাব্যাংশে ‘ অম্বুরাশি – সুতা ‘ অর্থাৎ লক্ষ্মী , ইন্দ্রজিতের ধাত্রী প্রভাষার ছদ্মবেশ ধারণ করে প্রমোদকাননে এসে ইন্দ্রজিৎকে বীরবাহুর মৃত্যু ও রাবণের যুদ্ধযাত্রার সংবাদ দিয়েছিলেন ।

  • বীরবাহু কে

Ans: লঙ্কেশ্বর রাবণ ও গন্ধবর্তনয়া চিত্রাঙ্গদার পুত্র হলেন বীরবাহু । বাল্মীকির রামায়ণে বীরবাহুর উল্লেখ না থাকলেও কৃত্তিবাসী রামায়ণে তাঁর উল্লেখ পাওয়া যায় । 

  • মহাশোকী রাক্ষসাধিপতি কাকে বলা হয়েছে

Ans: পাঠ্য ‘ অভিষেক ‘ কবিতায় ‘ মহাশোকী রাক্ষসাধিপতি ‘ বলতে লঙ্কার অধিপতি রক্ষরাজ রাবণকে বলা হয়েছে । পুত্র বীরবাহুর মৃত্যুতে তিনি মহাশোকী । 

  1. হায় পুত্র , কি আর কহিব কনকলঙ্কার দশা বক্তাকনকলঙ্কার দশাবলতে কী বুঝিয়েছেন

Ans: বক্তা প্রভাষার ছদ্মবেশী ‘ অম্বুরাশি – সুতা ‘ অর্থাৎ লক্ষ্মীদেবী ‘ কনক – লঙ্কার দশা ‘ বলতে বীরবাহুর মৃত্যু এবং সেই কারণে রাবণের সসন্যৈ যুদ্ধযাত্রার কথা বলেছেন ।

  1. এবং তার বিস্ময়ের কারণ কী ? জিজ্ঞাসিলা মহাবাহু বিস্ময় মানিয়া ; – মহাবাহু কে ?

Ans: ‘ মহাবাহু ‘ হলেন ইন্দ্রজিৎ । রামচন্দ্রকে রাত্রিকালীন যুদ্ধে তিরের আঘাতে খণ্ড খণ্ড করে কেটে ফেলা সত্ত্বেও , তাঁরই হাতে বীরবাহু কীভাবে মারা যেতে পারে এ কথা ভেবে তিনি বিস্মিত হয়েছেন । 

  1. তবে , বারতা , অদ্ভুত বারতা , বার্তাটি কী এবং তা অদ্ভুত কেন

Ans: বার্তাটি হল রাঘবের হাতে বীরবাহুর মৃত্যু । বার্তাটি অদ্ভুত কারণ ইন্দ্রজিতের তিরের আঘাতে যে – রাঘবের মৃত্যু ঘটেছে , সে কী করে বীরবাহুর হত্যাকারী হয় ।

  1. ভগবতীর অপর নাম কী ?

Ans: মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘ অভিষেক ’ নামাঙ্কিত কবিতা থেকে আমরা জানতে পারি , ভগবতীর অপর নাম লক্ষ্মী । ‘ 

  1. রক্ষ রক্ষঃকুলমান , ‘ — বক্তা কে এবং কাকে উদ্দেশ্য করে কথা বলেছেন ?

Ans: বক্তা হলেন প্রভাষার রূপ ধারণকারিণী দেবী লক্ষ্মী । তিনি মায়াবী রামচন্দ্রের হাত থেকে রক্ষঃকুলকে রক্ষার জন্য ইন্দ্রজিৎকে উদ্দেশ্য করে এ কথা বলেছেন ।

  1. ইন্দ্রজিতের প্রিয়ানুজকে কে বধ করেছেন ?

Ans: ‘ অভিষেক ’ কবিতা অনুসারে , ইন্দ্রজিতের প্রিয় বৈমাত্রেয় ভাই বীরবাহুকে , রামচন্দ্র সম্মুখসমরে বধ করেছিলেন ।

  1. রঘুবরকে ইন্দ্রজিৎ কখন সংহার করেছিলেন ?

Ans: ‘ অভিষেক ’ কবিতানুসারে , লক্ষ্মীর কাছে বীরবাহুর মৃত্যুসংবাদ পাওয়ার পর বিস্মিত ইন্দ্রজিৎ তাঁকে জানিয়েছিলেন যে , রাত্রিকালীন যুদ্ধে তিনি রাঘবকে সংহার করেছিলেন । 

  1. ইন্দিরা সুন্দরীকে কী কী বিশেষণে ভূষিত করা হয়েছে

Ans: পাঠ্য রচনাংশে কবি মাইকেল মধুসুদন দত্ত ‘ ইন্দিরা সুন্দরী ’ তথা লক্ষ্মীকে ‘ রত্নাকর ’ ও ‘ রত্নোত্তমা ‘ বিশেষণে ভূষিত করেছেন ।

  1. ইন্দিরা সুন্দরীর মুখে প্রিয় ভাই বীরবাহুর মৃত্যুসংবাদ শুনে মেঘনাদের রোষের বহিঃপ্রকাশ কীভাবে ঘটেছিল

Ans: প্রমোদোদ্যানে ছদ্মবেশী লক্ষ্মীর মুখে প্রিয় ভাই বীরবাহুর মৃত্যুসংবাদ শুনে মেঘনাদ ফুলমালা ছিঁড়ে , সোনার আভরণ ছুড়ে ফেলে নিজেকে ধিক্কার জানায় । 

  1. হা ধিক্ মোরে ! –বস্তুা কেন নিজেকে ধিক্কার দিয়েছিলেন ?
ALSO READ :  Madhyamik English Suggestion 2024 Free PDF Download | WBBSE Last-Minute Suggestion

Ans: স্বর্ণলঙ্কা যখন শত্রুপক্ষের ঘেরাটোপে , প্রিয় ভাই যখন নিহত , পিতা যুদ্ধযাত্রার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত তখন প্রমোদকাননে মেয়েদের মাঝে বিলাসিতা শোভন নয় — তাই এই আত্মধিকার । 

  • ঘুচাব অপবাদ , বধি রিপুকুলে / অপবাদটি কী

Ans: রামচন্দ্রের হাতে লঙ্কার আক্রান্ত হওয়া ও প্রিয়ানুজ বীরবাহুর মৃত্যুকালে মেয়েদের মাঝে প্রমোদোদ্যানে সময় কাটানো এবং কর্তব্যের গাফিলতিকেই ইন্দ্ৰজিৎ অপবাদ বলেছেন ।

  • সাজিলা রথীন্দ্রষভ বীরআভরণে ‘ — ‘ রথীন্দ্রর্যভবলতে কাকে বোঝানো হয়েছে এবং তিনি কোন্ কোন্ বীরের মতো আভরণে ভূষিত হয়েছেন

Ans: ‘ রথীন্দ্রষভ ‘ বা শ্রেষ্ঠ যোদ্ধা মেঘনাদ তারকাসুর বধ কালে কার্তিকের মতো ও বিরাটরাজের গোধন রক্ষার্থে বৃহন্নলারূপী কিরীটীর মতো বীর আভরণে ভূষিত হয়েছিলেন । 

  • মায়ারী মানব বলতে কাকে চিহ্নিত করা হয়েছে ?

Ans: ‘ অভিষেক ‘ নামাঙ্কিত পাঠ্য রচনাংশে মায়াবী মানব বলতে লক্ষ্মী , রঘুবর রামচন্দ্রকে চিহ্নিত করেছেন ।

  • তব শরে মরিয়া বাঁচিল ’— কার শর প্রয়োগে কে মরে বেঁচে উঠেছিলেন ?

Ans: আলোচ্য ‘ অভিষেক ’ কবিতায় রক্ষকুলবীর ইন্দ্রজিতের তিরের আঘাতে রাঘব মরেও বেঁচে উঠেছিলেন ।

  • যাও তুমি ত্বরা করি ; ‘ – কে কাকেত্বরা করিযাত্রা করতে বলেছেন

Ans: ‘ অভিষেক ‘ কবিতানুসারে , স্বর্ণলঙ্কার বর্তমান অবস্থা নিরীক্ষণ করে লক্ষ্মী ত্বরা অর্থাৎ শীঘ্র ইন্দ্রজিৎকে সেখানে যাত্রা করতে বলেছেন ।

  • কালসমরে শব্দার্থ বুঝিয়ে দাও

Ans: পাঠ্য ‘ অভিষেক ‘ কবিতায় , ‘ কালসমরে ‘ বলতে রাবণের সঙ্গে রামচন্দ্রের সম্ভাব্য ঘোরতর যুদ্ধের কথা বলা হয়েছে । 

  • ইন্দ্ৰজিৎকেরক্ষঃচূড়ামণিবলার কারণ কী

Ans: ‘ রক্ষঃ – চূড়ামণি ‘ শব্দের অর্থ রাক্ষসদের মধ্যে কুলশ্রেষ্ঠ বা শিরোমণি । প্রবল শক্তির অধিকারী ইন্দ্রজিৎ রাক্ষসদের মধ্যে বীর যোদ্ধা , তাই তাকে ‘ রক্ষঃ – চূড়ামণি ‘ বলা হয়েছে । 

  • মহাবলী মেঘনাদের কুসুমদাম ছেঁড়ার কারণ কী ?  

Ans: প্রভাষা ছদ্মবেশধারী লক্ষ্মীর কাছে ইন্দ্রজিৎ স্বর্ণলঙ্কার দুর্দশার কথা এবং রাঘবকে সংহার করা সত্ত্বেও তাঁর বেঁচে থাকার কথা জানতে পেরে মেঘনাদ প্রচণ্ড রোয়ে কুসুমদাম ছিঁড়ে ফেললেন । 

  • ইন্দ্রজিতের কুসুমদাম ছিঁড়ে ফেলা অন্যান্য জিনিস ছুড়ে ফেলাকে কীসের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে ?

Ans: ‘ অভিষেক ‘ কবিতায় ইন্দ্রজিতের কুসুমদাম ছিঁড়ে ফেলা ও অন্যান্য জিনিস ছুড়ে ফেলাকে , অশোক গাছের তলায় অশোক ফুলের আড্ডা বিচ্ছুরণের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে । 

  • মহাবলীমেঘনাদ প্রচণ্ড রোয়ে কী কী করলেন ?  

Ans: ‘ অভিষেক ‘ কবিতা অনুসারে , মহাবলী মেঘনাদ প্রচণ্ড রোষে কুসুমদাম ছিঁড়ে ফেলে , সোনার আভরণ ছুড়ে ফেলে সকল সাজ নষ্ট করলেন । 

  • প্রচণ্ড রোষে মেঘনাদ নিজেকে কী বলে ধিক্কার দিলেন ?  

Ans: ‘ অভিষেক ‘ কবিতানুসারে , যখন শত্রুরা স্বর্ণলঙ্কা গ্রাস করতে উদ্যত , তখন ইন্দ্ৰজিৎ নারীদের মাঝে প্রমোদরত — এই ভাবনা প্রকাশ করে । তিনি নিজেকে ধিক্কার দিলেন । 

  • বৈরিদল বেড়ে / স্বর্ণলঙ্কা , – ‘ বৈরিদলবলতে কাদের বোঝানো হয়েছে ? ‘ বেড়ে স্বর্ণলঙ্কাবলতে কী বোঝ ?

Ans:  এখানে ‘ বৈরিদল ‘ অর্থাৎ শত্রুপক্ষ বলতে রামচন্দ্র ও তাঁর সৈন্যদের বোঝানো হয়েছে । ‘ বেড়ে স্বর্ণলঙ্কা ‘ বলতে বোঝানো হয়েছে । স্বর্ণলঙ্কাকে ঘিরে ফেলা হয়েছে । 

  • কাঁপিলা লঙ্কা , কাঁপিলা জলধি ’— ‘ লঙ্কাজলধি কেঁপে ওঠার কারণ কী ? 

Ans: ‘ অভিষেক ’ কবিতা অনুসারে প্রভাষার মুখে লঙ্কার দুঃসংবাদ শুনে প্রমোদ উদ্যান থেকে যুদ্ধ যাত্রাকালে রথে চেপে আকাশপথে ধাবমান মেঘনাদ ধনুকের ছিলায় যে – টংকার দিয়েছিলেন , তাতে এমন অবস্থা হয়েছিল । 

  • আন রথ ত্বরা করি ; ’ – ত্বরা করে রথ এনে ইন্দ্ৰজিৎ কী করবেন

Ans: পাঠ্য ‘ অভিষেক ‘ কবিতা অনুসারে , শীঘ্র রথ নিয়ে রাবণপুত্র ইন্দ্রজিৎ প্রমোদকানন ত্যাগ করে স্বর্ণলঙ্কার অভিমুখে যাত্রা করবেন ।

  • হৈমবতীসুত কী করেছিলেন

Ans: দেবলোকে ত্রাস সঞ্চারকারী মহাবলশালী তারকাসুরকে বধ করে ‘ হৈমবতীসূত ’ অর্থাৎ কার্তিকেয় স্বর্গরাজ্য নিষ্কণ্টক করেছিলেন । 

  • বৃহন্নলারূপী কিরীটি কে

Ans: ‘ বৃহন্নলারূপী কিরীটি ‘ হলেন বৃহন্নলার ছদ্মবেশধারী তৃতীয় পাণ্ডব অর্জুন ।

  • গোধন উদ্ধার করতে কিরীটি কাকে সঙ্গে নিয়েছিলেন

Ans: বিরাট রাজাকে বিপন্মুক্ত করতে কিরীটি তথা অর্জুন গোধন উদ্ধারের জন্য বিরাট পুত্রকে সঙ্গে নিয়েছিলেন ।

  • অর্জুনকে কিরীটি বলার কারণ কী

Ans: পাণ্ডবশ্রেষ্ঠ অর্জুন দেবরাজ ইন্দ্রের দেওয়া কিরীট বা মুকুট মাথায় পরেছিলেন বলে , অর্জুনকে কিরীটি বলা হয় । 

  • শমীবৃক্ষমূলেকথাটির মধ্যে কোন্ কাহিনির ইঙ্গিত আছে

Ans: ‘ শমীবৃক্ষমূলে ‘ কথাটির মধ্যে বৃহন্নলারূপী অর্জুনের ছদ্মবেশ ত্যাগ করে যুদ্ধসজ্জার প্রসঙ্গের ইঙ্গিত আছে । 

  • স্বর্ণলঙ্কায় যাওয়ার সময় ইন্দ্রজিতের রথসজ্জার কথা লেখো  

Ans: ‘ অভিষেক ’ কবিতা অনুসারে স্বর্ণলঙ্কায় যাওয়ার সময় ইন্দ্রজিতের অত্যন্ত দ্রুতবেগসম্পন্ন মেঘবর্ণ রথটির চাকায় ছিল বিজলির ছটা , পতাকা ছিল রংধনুর মতো সাতটি বর্ণে রঞ্জিত । 

  • ইন্দ্ৰজিৎ যখন স্বর্ণলঙ্কায় যাওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছিলেন তখন কে তার পথ রোধ করে দাঁড়ালেন

Ans: ‘ অভিষেক ‘ কবিতানুসারে ইন্দ্রজিৎ যখন স্বর্ণলঙ্কায় যাওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছিলেন তখন ইন্দ্রজিতের পত্নী প্রমীলা তাঁর পথ রোধ করে দাঁড়ালেন ।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর | অভিষেক (কবিতা) মাইকেল মধুসূদন দত্তমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন উত্তর | Madhyamik Bengali Abhishek Question and Answer :

  1. কনকআসন ত্যজি ‘ — কে , কেন কনকআসন ত্যাগ কনকআসন ত্যাগ করেছিল

Ans: আমাদের পাঠ্য মধুসূদনের ‘ অভিষেক ’ নামক কাব্যাংশে রাবণ ও মন্দোদরীর বীরপুত্র ইন্দ্রজিতের কনক – আসন ত্যাগের কথা বলা হয়েছে । । ইন্দ্ৰজিৎ প্রমোদ উদ্যানে স্ত্রী প্রমীলা ও তাঁর সখীদের নিয়ে প্রমোদবিহারে ব্যস্ত ছিলেন । এমন সময় ধাত্রী প্রভাষার ছদ্মবেশে দেবী লক্ষ্মী সেখানে উপস্থিত হন । ধাত্রী প্রভাষার এই অপ্রত্যাশিত আগমনের কারণ জানার জন্য ও তার প্রতি খাজ্ঞাপনের জন্য ইন্দ্রজিৎ কনক – আসন ত্যাগ করেছিলেন । মধুসুদনের ইন্দ্রজিৎ এখানে বিয়ে , শ্রদ্ধা ও সৌজন্যবোধের প্রতীকরূপে প্রতিভাত ।

  • শিরঃ চুম্বি , ছদ্মবেশী অম্বুরাশিসুতা / উত্তরিলা – ‘ অম্বুরাশিসুতাকে ? তাঁর উত্তর কী ছিল

Ans: মধুসূদনের অভিষেক ’ নামক পাঠ্য কাব্যাংশে ‘ অম্বুরাশি – সুতা ’ অম্বুরাশি – সুতা শব্দটি পাই । ইনি আসলে দেবী লক্ষ্মী । দেবতা ও অসুরের সমুদ্রমন্থনকালে জল থেকে উত্থিত বলে তাঁর এমন নাম । 

  দেবী লক্ষ্মী ধাত্রী তাঁকে আসার কারণ প্রভাষার রূপে প্রমোদ উদ্যানে হাজির হলে ইন্দ্রজিৎ ও লঙ্কার কুশল জিজ্ঞাসা করেন । অত্যন্ত হতাশার সঙ্গে তিনি ( দেবী লক্ষ্মী ) রামের সঙ্গে ভীষণ যুদ্ধে ইন্দ্রজিতের প্রিয় ভাই বীরবাহুর মৃত্যুসংবাদ ও বক্তার উত্তর পুত্রশোকে শোকগ্রস্ত পিতা রাবণের যুদ্ধযাত্রার প্রস্তুতির কথা জানান ।

  • মহাবাহু বিস্ময় মানিয়া ; ’ — ‘ মহাবাহুকে ? তাঁর প্রশ্ন বিস্ময়ের কারণ কী

Ans: মহাবাহুর পরিচয় মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত ( মেঘনাদবধ কাব্য : প্রথম সর্গ ) পাঠ্য ‘ অভিষেক ‘ রচনাংশে ‘ মহাবাহু ’ হলেন রক্ষকুলমণি বীরেন্দ্রকেশরী ইন্দ্রজিৎ মেঘনাদ । কবি এখানে ইন্দ্রজিতের প্রবল শক্তি ও পরাক্রমের জন্য তাঁকে ‘ মহাবাহু ‘ বিশেষণে ভূষিত করেন । ( ইন্দ্ৰজিৎ যখন ধাত্রীরূপী দেবী লক্ষ্মীর কাছে রামচন্দ্রের সঙ্গে সম্মুখসমরে বীরবাহুর মৃত্যুসংবাদ জানলেন , তখন তিনি অত্যন্ত বিস্ময় প্রকাশ করলেন । কারণ তিনি নিজে রাত্রিকালীন যুদ্ধে রামকে সংহার করেছেন । মৃত ব্যক্তি কীভাবে বীরবাহুকে সংহার করবে এ কথা ভেবেই তিনি বিস্মিত ।

  • অদ্ভুত বারতা ; —কোন্ বার্তা , কেন অদ্ভুত

Ans: উদ্ধৃত অংশটি মধুসুদন দত্ত রচিত ( মেঘনাদবধ কাব্য : প্রথম সর্গ ) ‘ অভিষেক ‘ নামক পাঠ্য কবিতা থেকে গৃহীত । + কোন বার্তা এবং কেন অদ্ভুত , লক্ষ্মীদেবী ইন্দ্রজিতের ধাত্রী প্রভাষার ছদ্মবেশে এসে স্বর্ণলঙ্কার সকল সংবাদ তাঁকে জানালেন । সম্মুখসমরে রামের সঙ্গে প্রচণ্ড যুদ্ধে নিহত হয়েছেন ইন্দ্রজিতের প্রিয় ভাই বীরবাহু । কিন্তু ইন্দ্ৰজিৎ এ সংবাদে অত্যন্ত বিস্ময়াপন্ন হলেন । কারণ তিনি নিজের হাতে রাত্রিকালীন যুদ্ধে রামকে হত্যা করেছেন । আর সেই মৃত রাঘব কিনা তাঁর ভাই – এর হত্যাকারী — এই বার্তাই তাঁর কাছে অদ্ভুত লেগেছে । 

  • সীতাপতিকে ? তাঁকেমায়াবী মানববলা হয়েছে কেন

Ans: পাঠ্য ‘ অভিষেক ’ কাব্যাংশে উক্ত নামের উল্লেখ পাওয়া যায় । সীতাপতি অযোধ্যার রাজা দশরথের জ্যেষ্ঠপুত্র ছিলেন রাম । এই রামচন্দ্রের স্ত্রীর নাম সীতা । এই কারণে রামচন্দ্রকে ‘ সীতাপতি ‘ বলা হয়েছে । ‘ মায়াবী মানব ’ বলার কারণ সীতাপতি রামচন্দ্রকে লক্ষ্মীদেবী ‘ মায়াবী মানব ‘ বলেছেন । কারণ মায়াবী না – হলে প্রবল শক্তিশালী ইন্দ্রজিতের তিরে রামের মৃত্যু হলেও , তিনি কীভাবে পুনরায় দৈবপ্রভাবে পুনর্জীবন লাভ করেন । এই কারণে কাব্যাংশে রামকে ‘ মায়াবী মানব ’ রূপে উপস্থাপনা করা হয়েছে ।

  • রক্ষ রক্ষঃকুল মান , কালসমরে , রক্ষঃচূড়ামণিবক্তারক্ষঃচূড়ামণিবলে কাকে সম্বোধন করেছেন ? ‘ কালসমর বলতে কী বোঝ

Ans: বক্তা ইন্দিরা সুন্দরী অর্থাৎ লক্ষ্মী দেবী ‘ রক্ষঃ – চূড়ামণি ‘ বলে ‘ রক্ষাঃ – চূড়ামণি ’ ইন্দ্রজিৎকে সম্বোধন করেছেন । কালসমর ‘ কালসমর ‘ বলতে বোঝায় কাল রূপ সমর বা ভয়ংকর যুদ্ধ । এক্ষেত্রে রামচন্দ্রের সঙ্গে রাক্ষসদের ভয়ংকর প্রাণঘাতী যুদ্ধকে বোঝানো হয়েছে । ছদ্মবেশী দেবী লক্ষ্মী প্রমোদকাননে ইন্দ্রজিতের সামনে যখন হতাশার সুরে বীরবাহুর মৃত্যু , রাবণের যুদ্ধযাত্রার কথা বলছিলেন তখন তা তাঁর বিশ্বাস হচ্ছিল না । দেবী মায়াবী মানব রামচন্দ্রের জেগে ওঠা ও তাঁর দৈবী শক্তির পরিচয় দিতে শব্দটি ব্যবহার করেছেন । 

  • ইন্দিরা সুন্দরীর বার্তা পেয়ে ইন্দ্ৰজিৎ কী কী করেন

Ans: ইন্দিরা সুন্দরীর বার্তার প্রভাব উত্তর মাইকেল মধুসুদন রচিত ‘ মেঘনাদবধ কাব্য ‘ – এর ‘ অভিষেক ‘ নামাঙ্কিত পাঠ্য কাব্যাংশে ইন্দিরা সুন্দরীর বার্তা পেয়ে ইন্দ্রজিৎ প্রচণ্ড কোধে কুসুমদাম অর্থাৎ ফুলমালা ছুড়ে ফেললেন এবং সোনার অলংকার দূরে ছুঁড়ে ফেলে দিলেন । অশোক ফুল গাছের তলায় যেমন আভাময় হয়ে পড়ে থাকে , ঠিক তেমনই ইন্দ্রজিতের সেইসব সোনার অলংকার সোনা शি আভা ছড়িয়ে মাটিতে পড়ে রইল ।

  • ধিক মোরেকে , কেন একথা বলেছেন ?

Ans: উদ্ধৃত অংশটির বক্তা মধুসুদনের ‘ মেঘনাদবধ কাবা ’ থেকে গৃহীত ‘ অভিষেক ‘ নামক কাব্যাংশের অন্যতম চরিত্র ইন্দ্রজিতের । মেঘনাদ প্রমোদকাননে বিলাসব্যসনে মত্ত থাকার সময় কে , কেন প্রশ্নোত প্রভাষার ছদ্মবেশে লক্ষ্মী এসে ইন্দ্রজিৎকে তার প্রিয় ভ্রাতা বীরবাহুর মৃত্যু এবং শোকস্তব্ধ রাবণের শত্ৰু রাঘব নিধনে ব্রতী হওয়ার কথা জানায় । লঙ্কার এই দুর্দিনে ইন্দ্রজিৎ প্রমোদকাননে মেয়েদের মাঝে থেকে রাজধর্ম পালনে ব্যর্থ হয়েছেন বলে তাঁর এই আত্মধিক্কার ।

  • ঘুচাব অপবাদ ’ — বক্তা কোন্ অপবাদ , কীভাবে ঘোচাতে চেয়েছেন ?

Ans: প্রশ্নে উদ্ধৃত অংশটি ‘ অভিষেক ’ নামাঙ্কিত কাব্যাংশ থেকে গৃহীত হয়েছে । বক্তা ইন্দ্ৰজিৎ প্রভাষা রাক্ষসীর বেশধারিণী লক্ষ্মীদেবীর মুখে ভাইয়ের মৃত্যুসংবাদ এবং রাবণের যুদ্ধপ্রস্তুতির কথা শুনে দ্রুত প্রমোদ উদ্যান ত্যাগ করে লঙ্কায় যাত্রা করতে উদ্যত হলেন । যখন তিনি বুঝলেন স্বর্ণলঙ্কার ঘোরতর দুর্দিনে তিনি নারীদের মাঝে বিলাসব্যসনে মত্ত , তখন নিজেকে তিনি ধিক্কার জানালেন ও শত্রুকুলের নিধন করবার প্রতিজ্ঞা করে সকল অপবাদ ঘোচাবেন বলে দৃঢ় সংকল্প নিলেন । 

  1. বৃহন্নলারূপী কিরীটি কে ? তাঁর কোন্ কীর্তির কথা পাঠে উল্লিখিত হয়েছে ?

Ans:  মাইকেল মধুসুদন দত্তের ‘ অভিষেক ‘ কাব্যাংশে বৃহন্নলারূপী কিরীটি হলেন তৃতীয় পাণ্ডব অর্জুন । অজ্ঞাতবাসকালে , বিরাট রাজার কন্যা উত্তরার নৃত্য – গীত শিক্ষিকারূপে নিযুক্ত অর্জুন বৃহন্নলাবেশ ধারণ করেন । → অর্জুন যখন বৃহন্নলার ছদ্মবেশে বিরাট রাজার প্রাসাদে ছিলেন , সেসময় দুর্যোধন বিরাট রাজাকে পরাস্ত করে তাঁর সমস্ত কীর্তির পরিচয় গোধন হরণ করেন । তখন অর্জুন রাজপুত্র উত্তরের সারথিরূপে কৌরবদের সঙ্গে যুদ্ধ করে বিরাট রাজাকে বিপদ থেকে মুক্ত করেন । তাঁর সেই গোধন উদ্ধারের কীর্তির কথাই পাঠে উল্লিখিত হয়েছে

  1. সাজিলা রবীন্দ্রর্যত’— ‘ রবীন্দ্রর্যভকে ? তিনি কেমন ভাবে সাজলেন ?

Ans: মধুসূদনের ‘ অভিষেক ‘ নামক পাঠ্য কাব্যাংশে ‘ রথীন্দ্রর্যভ ‘ ‘ রণীয় ‘ শব্দটি পাই , যার অর্থ ‘ শ্রেষ্ঠ রথী ‘ । এখানে ‘ রথীন্দ্রর্যভ ‘ বলতে ইন্দ্রজিৎকে বোঝানো হয়েছে । প্রমোদকাননে মেয়েদের মাঝে ইন্দ্রজিৎ যখন বিলাসব্যসনে মত্ত ছিলেন । তখন লঙ্কার ঘোর দুর্দিনের খবর পেয়ে নিজেকে সালের বর্ণনা ধিক্কার জানান । শত্রুপক্ষকে বিনাশ করতে এই শ্রেষ্ঠ বীর তারকাসুর বিনাশকালে কার্তিকের মতো ও বিরাট রাজার গোধন রক্ষার সময় বৃহন্নলারূপী অর্জুনের মতো রণসাজে সজ্জিত হলেন । 

  1. ধরি পতিকরযুগ ‘ — ‘ পতিকরযুগ ধরে কে , কী বলেছিলেন লেখো  
ALSO READ :  Madhyamik class 10th Bengali Asukhi Ekjon Question and Answer

Ans: মধুসূদনের ‘ অভিষেক ‘ কাব্যাংশে ছদ্মবেশী প্রভাষার কাছে লঙ্কার দুর্দিনের খবর পেয়ে ইন্দ্রজিৎ প্রমোদকানন থেকে লঙ্কার দিকে যাত্রা করেন । ইন্দ্রজিতের বিদায় প্রমীলাকে বিরহ ‘ পতি – কর – যুগ ধরে ব্যথায় আচ্ছন্ন করে । বিরহকাতর প্রমীলা কেঁদে ফেলেন এবং বলেন পতি বিনা কেমন করে তিনি প্রাণ রক্ষা করবেন । গহন বনের মধ্যে হাতিদের দলপতি যেভাবে বনলতাকে পদতলে স্থান দেয় , প্রমীলাও ঠিক সেইভাবে ইন্দ্রজিতের আশ্রয়ে থাকতে চাইছেন ।

  1. কহিলা কাঁদিয়া ধনি ; ‘ — ‘ ধনি কে ? তিনি কাঁদলেন কেন

Ans: ‘ অভিষেক ‘ কাব্যাংশে ‘ ধনি ‘ বলতে ইন্দ্ৰজিৎ – পত্নী প্রমীলাকে বোঝানো হয়েছে । 

  ধাত্রী প্রভাষা বেশধারী লক্ষ্মী যখন স্বর্ণলঙ্কার দুর্দিন , ইন্দ্রজিতের ভাই বীরবাহুর মৃত্যুসংবাদ ও রাবণের যুদ্ধযাত্রার প্রস্তুতির খবর ইন্দ্রজিতের কাছে দিলেন , তখন তিনি প্রমোদকাননে নারীদের ‘ ধনি ‘ কাঁদলেন কেন মাঝে বিলাসব্যসনে মত্ত ছিলেন । স্বর্ণলতা যেভাবে বড়ো গাছকে আঁকড়ে ধরে , সেভাবে প্রমীলা রক্ষকুলনিধি ইন্দ্রজিৎকে আঁকড়ে ধরে , তাঁর পথ রোধ করে কেঁদে ফেলেন । স্বামীর বিচ্ছেদ – বেদনায় পত্নীর কাতা ও ব্যথাতুর রূপটি প্রমীলার মধ্যে দিয়ে ফুটে ওঠে ।

  1. তাজ কি কিঙ্করীরে আজি ? –বক্তা কে ? তার মনে এমন প্রশ্ন জেগে ওঠার কারণ কী ? অথবা , ‘ কেমনে ধরিবে প্রাণ তোমার বিরহে ‘ — কার উক্তি ? কেন এমন উক্তি ?

Ans: মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘ অভিষেক ’ কবিতা থেকে গৃহীত অংশে , ইন্দ্রজিৎ – পত্নী প্রমীলার মনে এই প্রশ্ন জেগেছে । মনে প্রশ্ন জেগে ওঠার কারণ ইন্দ্ৰজিৎ , ধাত্রী প্রভাষা – বেশী লক্ষ্মীর কাছে স্বর্ণলঙ্কার দুর্দিনের খবর পান । এই সংবাদ শুনে , তিনি স্বর্ণলঙ্কার উদ্দেশে রওনা হওয়ার জন্য প্রস্তুত হন । এমন সময় পত্নী প্রমীলা তাঁর পথ রোধ করে দাঁড়ান । প্রমীলা স্বামীর কাছে , তাঁকে ত্যাগ করার কারণ জানতে চান । জানতে চান এই হতভাগিনি ইন্দ্ৰজিৎ – বিনা কেমনভাবে বেঁচে থাকবেন । ব্রততীকে মাতঙ্গ ত্যাগ করলেও যেমন যূথনাথ আশ্রয় দেয় , ঠিক তেমনভাবেই তিনি কোনোক্রমে ইন্দ্রজিতের পদাশ্রয়ে নিজ স্থান খুঁজেছেন । আসলে স্বামীবিরহে বিরহাতুরা এক পত্নীর অন্তরের রূপটি এই উক্তির মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে ।

  1. প্রমীলার কথার উত্তরে মেঘনাদ কী বলেছিলেন

Ans: মাইকেল মধুসুদন দত্ত রচিত ‘ অভিষেক ‘ কাব্যাংশে প্রমোদ উদ্যানে প্রভাষার মুখে লঙ্কার দুর্দিনের কথা শুনে ইন্দ্রজিৎ লঙ্কার উদ্দেশ্যে রওনা দিলে প্রমীলা তাঁর পথ রোধ করেন এবং প্রমোদ উদ্যান পরিত্যাগের কারণ জানতে চান । উত্তরে ইন্দ্রজিৎ বলেন , প্রমীলা মেঘনাদের প্রত্যুত্তর যে দৃঢ় বন্ধনে তাঁকে আবদ্ধ করে রেখেছেন , তা চিরন্তন । তারই কল্যাণে রাঘবকে পরাস্ত করে দ্রুত ফিরে আসবেন বলে বিদায় নেন । 

  1. কাপিলা লঙ্কা , কাপিলা জলধি ! –লঙ্কা কেঁপে উঠল কেন

Ans: পাঠ্য ‘ অভিষেক ’ কাব্যাংশে ছদ্মবেশী প্রভাষার কাছে লঙ্কার দুর্দিনের সংবাদ শুনে প্রমোদকানন ত্যাগ করে ইন্দ্রজিং শত্রুর হাত থেকে লঙ্কাকে রক্ষার্থে লঙ্কার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন । তাঁর এই আগমনকে আকাশপথে মৈনাক পর্বতের সোনার পাখাবিস্তার করে উজ্জ্বল করে তোলার সঙ্গে তুলনা করেছেন । লঙ্কার কেঁপে ওঠার ক্রুদ্ধ ইন্দ্রজিতের ধনুকের গুণ পরানো ও শর কারণ নিক্ষেপকে মেঘের মাঝে গরুড়ের গর্জনের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে । এর ফলেই লঙ্কা ও সমুদ্র কেঁপে উঠেছে । 

  1. মায়া , পিতঃ , —কোন্ মায়ার কথা বলা হয়েছে

Ans: মধুসূদন দত্তের ‘ অভিষেক ’ কাব্যাংশে রামচন্দ্রের মায়াবলে পুনরায় জীবন ফিরে পাওয়ার প্রসঙ্গটি উত্থাপিত হয়েছে । ধাত্রী প্রভাষা – রূপী লক্ষ্মী ইন্দ্রজিৎকে লঙ্কার ঘোরতর দুর্দিনের কথা জানান এবং এও বলেন , ‘ মায়াবী মানব সীতাপতি ; তব শরে মরিয়া বাঁচিল । এ সংবাদ শোনামাত্র ইন্দ্রজিৎ প্রমোদ উদ্যান ত্যাগ মায়ার পরিচয় করে লঙ্কায় পিতা রাবণের কাছে উপস্থিত হলেন । রাজা রাবণ তখন নিজেই যুদ্ধযাত্রার জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন । এই অবস্থায় ইন্দ্রজিৎ রাবণকে রামচন্দ্রের পুনর্জীবন লাভের কারণ জানতে চাইলেন ।

  1. মায়া , পিতঃ , বুঝিতে না পারি ! বক্তার নাবোঝার কারণ কী ?

Ans: মধুসুদন দত্তের ‘ অভিষেক ‘ কাব্যাংশ থেকে গৃহীত উদ্ধৃত পঙ্ক্তিটির বক্তা ইন্দ্রজিৎ । তিনি পিতাকে জিজ্ঞাসা করেছেন যে , কোন্ মায়াবলে রামচন্দ্র তাঁর তিরে নিথর হয়েও পুনরায় বেঁচে উঠলেন । আসলে পরাক্রমশালী ইন্দ্রজিৎ দু – বার যুদ্ধে রামচন্দ্রের বক্তার না বোঝার কারণ প্রাণনাশের উদ্যোগ করেছিলেন । তাই বারবার রামের পুনর্জীবন লাভ তাঁর কাছে গভীর বিস্ময়ের ব্যাপার । এ কোনো  ি মায়াবল ছাড়া সম্ভব নয় । তাই তিনি এই উক্তির মাধ্যমে অন্তর্মনের বিস্ময় ও হতাশা প্রকাশ করেছেন । 

রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর | অভিষেক (কবিতা) মাইকেল মধুসূদন দত্তমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন উত্তর | Madhyamik Bengali Abhishek Question and Answer :

1. অভিষেককবিতাটি কোথা থেকে গৃহীত ? কবিতাটির নামকরণের সার্থকতা বিচার করো  

Ans: ‘ অভিষেক ’ কবিতাটি মাইকেল মধুসূদনের ‘ মেঘনাদবধ কাব্য ’ গ্রন্থের ‘ প্রথম সর্গ ’ থেকে গৃহীত । এক্ষেত্রে উল্লেখ্য কবির দেওয়া প্রথম সর্গটির নামও ‘ অভিষেক । ‘ নামকরণের সার্থকতা ‘ অংশটি দ্যাখো । 

2. ‘ জিজ্ঞাসিলা মহাবাহু বিস্ময় মানিয়া মহাবাহু কে ? প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তার বিস্ময়ের কারণ উল্লেখ করো   

Ans: মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘ মেঘনাদবধ কাব্য ’ – এর প্রথম সর্গ থেকে সংকলিত আমাদের পাঠ্য ‘ অভিষেক ’ নামক কাব্যাংশে ‘ মহাবাহু বলতে রাবণ ও মন্দোদরী পুত্র ইন্দ্রজিৎকে বোঝানো হয়েছে । প্রবল পরাক্রমী বীরত্বের জন্য তাঁকে এই বিশেষণে বিশেষিত করা হয়েছে । প্র প্রমোদ উদ্যানে যখন ইন্দ্রজিৎ বিলাসমত্ত , ধাত্রী প্রভাষার ছদ্মবেশধারী দেবী লক্ষ্মী তখন সেখানে আসেন । ধাত্রীকে দেখে ইন্দ্ৰজিৎ কিছুটা হতচকিত হয়ে পড়েন এবং সিংহাসন ত্যাগ করে বিনম্র চিত্তে তাঁর আগমনের কারণ ও লঙ্কার কুশল জিজ্ঞাসা করলেন । ছদ্মবেশী দেবী তাঁর শিরঃচুম্বন করে কনকলঙ্কার দুর্দশার ইঙ্গিত দেন । তিনি আরও জানান , এক ভীষণ যুদ্ধে ইন্দ্রজিতের প্রিয় ভাই বীরবাহুর মৃত্যু ঘটেছে এবং শোকাহত রাবণ সেইজন্য সসৈন্যে যুদ্ধযাত্রার আয়োজন করছেন । এসব শুনেই মহাবাহু ইন্দ্রজিতের এমন বিস্ময়ের উদ্রেক ঘটেছে । রামের হাতে প্রিয় ভ্রাতা বীরবাহুর মৃত্যু ঘটেছে এ কথা শুনে তাঁর মনে বিস্ময় জেগেছে , কারণ ইন্দ্রজিৎ ইতিপূর্বে বিস্ময়ের কারণ রাত্রিকালীন যুদ্ধে রামকে তিরের আঘাতে টুকরো টুকরো করে কেটে হত্যা করেন । অথচ সেই রামের হাতেই বীরবাহুর মৃত্যু হয়েছে । ব্যাপারটা তাঁকে বিস্মিত করেছে । তাই ইন্দ্রজিৎ ভগবতীর কাছে অত্যন্ত বিস্ময়ের সঙ্গে এর বাস্তবতা জানতে চেয়েছেন ।

3. রত্নাকর রত্নোত্তমা ইন্দিরা সুন্দরী / উত্তরিলা ইন্দিরা সুন্দরী কে ? তাঁর উত্তরটি কী ছিল ? উত্তরে মেঘনাদের প্রতিক্রিয়া কী ছিল ? 

Ans: মধুসূদনের ‘ মেঘনাদবধ কাব্য ’ – এর প্রথম সর্গ থেকে সংকলিত ‘ ইন্দিরা সুন্দরী কে ? আমাদের পাঠ্য ‘ অভিষেক ‘ নামক কাব্যাংশে ইন্দিরা সুন্দরী ‘ বলতে বিরুপত্নী লক্ষ্মীদেবীকে বোঝানো হয়েছে ।

  ধাত্রী প্রভাষার ছদ্মবেশে দেবী লক্ষ্মীর মুখে বীরবাহুর মৃত্যুসংবাদ শুনে ইন্দ্ৰজিৎ বিস্মিত হয়েছিলেন , কারণ তার দ্বারা পরাস্ত ও নিহত রামের হাতে বীরবাহুর কীভাবে মৃত্যু হতে পারে । ইন্দ্রজিতের কাছে এই বার্তা অদ্ভুত বলে মনে হয়েছে এবং বার্তার উৎস জানতে চাইলে লক্ষ্মীদেবী সীতাপতি রাঘবকে মায়াবী মানব বলে অভিহিত করেন ও ইন্দ্রজিৎকে এই কালসমরে লঙ্কাকে রক্ষার আহ্বান জানান । ইন্দিরা সুন্দরীর মুখে ইন্দ্রজিৎ মায়াবী মানব সীতাপতির পুনরুজ্জীবনের কথা শুনে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন । তিনি গলার ফুলের মালা ছিঁড়ে , হাতের সোনার বালা ও কানের অলংকার সমস্ত ছুড়ে ফেললেন । অশোক গাছের মেঘনাদের প্রতিক্রিয়া তলায় অশোক ফুল যেভাবে পড়ে থাকে সেভাবেই ইন্দ্রজিতের সমস্ত অলংকার তাঁর পদতলে শোভা পাচ্ছিল । তীব্র আত্মধিক্কারে তিনি নিজেকে প্রশ্ন করেন — যখন শত্ৰুদল স্বর্ণলঙ্কা ঘিরে ফেলেছে তখন তাঁর মতো বীরের পক্ষে কি নারীদের মাঝে বিলাসমত্ত থাকা শোভা পায় ? তীব্র ক্রোধ ও আত্মগ্লানির বশবর্তী হয়ে ইন্দ্রজিৎ অনুচরদের যুদ্ধযাত্রার জন্য রথ প্রস্তুত করতে বলেন এবং শত্রুপক্ষকে বধ করে অপবাদ ঘোচানোর অঙ্গীকার করেন ।

4. ‘ যথা নাশিতে তারকে মহাসুর ; কিম্বা যথা বৃহন্নলারূপী কিরীটি , বৃহন্নলারূপী কিরীটি কে ? তার বৃত্তান্তটি বর্ণনা করো নাশিতে তারকে মহাসুর বলতে কী বোঝানো হয়েছে ? 

Ans: কবি মধুসূদন দত্তের ‘ মেঘনাদবধ কাব্য ’ – এর প্রথম সর্গের অন্তর্গত পাঠ্য ‘ অভিষেক ’ কাব্যাংশ থেকে উপরোন্ত উদ্ধৃতাংশটি গৃহীত । ‘ বৃহন্নলারূপী কিরীটি ‘ হলেন পাণ্ডবশ্রেষ্ঠ অর্জুন । তিনি দেবরাজ ইন্দ্রের দেওয়া কিরীট বা মুকুট মাথায় ধারণ করতেন বলে তাঁর আর এক নাম কিরীটি । পাঠ্যে উল্লিখিত ‘ বৃহন্নলারূপী কিরীটি ’ তথা তৃতীয় পাণ্ডব অর্জুন , বিরাট বৃত্তান্তের বর্ণনা রাজার গৃহে অজ্ঞাতবাসে থাকার সময় রাজকন্যা উত্তরাকে নৃত্যগীতাদি শিক্ষাদানের জন্য বৃহন্নলা ছদ্মনাম গ্রহণ করেন । সেই সময় কৌরব ভ্রাতৃবর্গ বিরাট রাজার গোধন অপহরণ করে বিরাটকে পরাজিত ও বন্দি করেন । রাজপুত্র উত্তরের সারথিরূপে এবং বৃহন্নলারূপী অর্জুন যুদ্ধে কৌরবদের সম্মুখীন হন এবং গোধনসমূহ উদ্ধার করে , শত্রুদের পরাজিত করে বিরাট রাজাকে বিপদ থেকে মুক্ত করেন । ‘ অভিষেক ’ কবিতায় কবি মধুসূদন অত্যন্ত সচেতনভাবেই দুই শ্রেষ্ঠ যোদ্ধার পরাক্রম বোঝাতে ধনুর্ধর অর্জুনের সঙ্গে ইন্দ্রজিতের সাহসিকতার তুলনা করেছেন । নাশিতে তারকে মহাসুর ‘ — মূল অর্থ → নাশিতে তারকে মহাসুর বলতে , দেবসেনাপতি কার্তিকেয়র হাতে তারকাসুর বধের প্রসঙ্গটি উত্থাপিত হয়েছে । তারকাসুর একসময় স্বর্গরাজ্য অধিকার করে দেবলোকে ত্রাসের সঞ্চার করেছিল । পার্বতী ও মহাদেবের পুত্র দেব সেনাপতি কার্তিকেয় স্বর্গরাজ্য নিষ্কণ্টক করার জন্য তারকাসুরকে বধ করে দেবতাদের রক্ষা করেন । স্বাজাত্যবোধ ও স্বাদেশিকতায় উদ্দীপিত পিতৃভক্ত বীর ইন্দ্রজিৎকে কবি দেবসেনাপতি কার্তিকের সঙ্গে তুলনা করেছেন ।

5. সাজিলা রথীন্দ্রভ বীর আভরণে’— রথীন্দ্রষভ তে কাকে বোঝানো হয়েছে তাঁর এই বীর আভরণে সজ্জিত হওয়াকে কাদের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে , ঘটনা উল্লেখ করে তা বর্ণনা করো

Ans: মধুসূদনের ‘ মেঘনাদবধ কাব্য ’ – এর প্রথম সর্গ থেকে গৃহীত পাঠ্য ‘ অভিষেক ’ নামক কাব্যাংশে আমরা ‘ রথীন্দ্রভ ‘ রথীন্দ্রবর্ষ কে ? শব্দটি পাই , যার অর্থ শ্রেষ্ঠ যোদ্ধা । এক্ষেত্রে রাবণপুত্র ইন্দ্রজিতের বীরত্ব বোঝাতে ‘ রথীন্দ্রভ ’ শব্দটি কবি ব্যবহার করেছেন । 

  ইন্দ্ৰজিৎকে শ্রেষ্ঠ যোদ্ধা হিসেবে বর্ণনা করতে গিয়ে কবি তাঁকে দেবসেনাপতি কার্তিক ও বৃহন্নলারুপী তৃতীয় পাণ্ডব অর্জুনের বীরত্বের সাথে তুলনা করেছেন । স্ত্রী প্রমীলা – সহ নারীদের মাঝে তুলনীয় বিষয় ও বিলাসমত্ত ইন্দ্রজিৎ ছদ্মবেশী লক্ষ্মীদেবীর মুখে যখন ঘটনার উল্লেখ শুনলেন , তার প্রিয় ভাই বীরবাহু রাঘবের হাতে প্রাণ হারিয়েছেন এবং পিতা রাবণ শোকাহত অবস্থাতেই যুদ্ধযাত্রার জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন , তখন তিনি নিজেকে তীব্র ধিক্কার জানান । শত্রুপক্ষকে বধ করেই তিনি এই অপবাদ ঘোচাতে চান । বীরসাজে সজ্জিত ইন্দ্রজিতের পরাক্রম বোঝাতেই কবি এই দুই শ্রেষ্ঠ যোদ্ধার সাহসিকতার সঙ্গে ইন্দ্রজিতের সাহসিকতার তুলনা করেছেন । তারকাসুর স্বর্গরাজ্য অধিকার করে দেবলোকে ত্রাসের সঞ্চার করেছিল । পার্বতী ও মহাদেবের পুত্র কার্তিকেয় তাকে হত্যা করে স্বর্গরাজ্য দেবতাদের ফিরিয়ে দেন । বৃহন্নলারুপী কিরীটি অর্থাৎ অর্জুন অজ্ঞাতবাসকালে বিরাট রাজকন্যার নৃত্যগীতাদির শিক্ষক ছিলেন । সেই সময় দুর্যোধনরা বিরাটের গোধন অপহরণ করলে প্রবল পরাক্রমী অর্জুন তথা বৃহন্নলারূপী কিরীটি তা রক্ষা করেন ।

6. প্রমীলা কে ? ইয়াজিতের সঙ্গে তাঁর কথোপকথন নিজের ভাষায় লেখো  

Ans: পাঠ্য ‘ অভিষেক ‘ নামাঙ্কিত কাব্যাংশে মধুসুদন ইন্দ্রজিতের শ্রমীলার পরিচায় স্ত্রী হিসেবে প্রমীলাকে উপস্থিত করেছেন । বাল্মীকি রামায়ণে না থাকলেও আমরা কৃত্তিবাসী রামায়ণে তাকে পাই । এখানে প্রমীলা কবির নিজস্ব পরিকল্পনা । 

  প্রমোদ উদ্যানে বিলাসে মত্ত থাকাকালীন প্রভাষা – রূপী ছদ্মবেশী দেবী লক্ষ্মী মুখে রাঘবের হাতে বীরবাহুর মৃত্যু ও শোকাহত রাবণের যুদ্ধনাত্রার কথা শুনে ক্রুদ্ধ ইন্দ্রজিৎ নিজেকে ধিক্কার জানিয়ে রণসাজে সজ্জিত হয়ে যখন বীরদর্পে যুদ্ধে গমনোদ্যত , তখন প্রমীলার দেখা পাওয়া যায় । তিনি তখন স্বামীর দুটি পা ধরে কেঁদে জানতে চান , ইন্দ্ৰজিৎ তাঁকে রেখে আজ কোথায় চলেছেন ? স্বামীর বিরহে কীভাবে তিনি দিনপাত করবেন ? এ প্রসঙ্গে প্রমীলার বক্তব্য গভীর জঙ্গলে ইন্দ্রজিৎ ও প্রমীলার হাতির দল বনলতার আকর্ষণ ছিন্ন করলেও , দলপতি কথোপকথন তাকে পদতলে স্থান দেয় । তিনিও এটুকুই চান । আজ কেন ইন্দ্ৰজিৎ এই সেবিকাকে ত্যাগ করে যাচ্ছেন ? স্বামী – স্ত্রীর চিরন্তন বন্ধনের কথা মনে করিয়ে ইন্দ্রজিৎ যত দ্রুত সম্ভব ফিরে আসার অঙ্গীকার করেন । কারণ হিসেবে তিনি বলেন , প্রমীলাই তো ইন্দ্রজিতের কল্যাণী । তাঁর মঙ্গল কামনার জোরে এই যুদ্ধে ইন্দ্রজিৎ রাঘবকে অনায়াসে নাশ করতে পারবেন । প্রমোদকানন থেকে লঙ্কায় যাত্রাকালে ইন্দ্রজিৎ এভাবেই প্রমীলার কাছ থেকে বিদায় নিয়েছিলেন ।

7. ‘ নমি পুত্র পিতার চরণে , করজোড়ে কহিলা ; পিতা পুত্রের পরিচয় দাও পাঠ্যাংশ অবলম্বনে পিতা পুত্রের কথোপকথন নিজের ভাষায় লেখো

Ans: মধুসূদনের ‘ মেঘনাদবধ কাবা ‘ – এর প্রথম সর্গ থেকে গৃহীত পাঠ ‘ অভিষেক ‘ কাব্যাংশের উদ্ধৃত অংশটিতে পিতা পিতা ও পুত্রের পরিচয় হলেন লঙ্কাধিপতি রাবণ এবং পুত্র হল রাবণপুত্র ইন্দ্ৰজিং । 

ALSO READ :  West Bengal Madhyamik Class 10th Bengali Pather Dabi Question and Answer

  পিতা রাবণকে প্রণাম জানিয়ে ইন্দ্রজিৎ যুদ্ধযাত্রার অনুমতি চান । তাঁর হাতে নিশারণে নিহত রাম পুনর্জীবন লাভ করেছেন শুনে , রামের মায়া না বুঝলেও ; তিনি রাঘবকে বায়ুঅস্ত্রে ভস্ম করার কিংবা রাজপদে বেঁধে আনার সংকল্প করেন । পুত্রের কথায় পুত্রবৎসল এক পিতার হৃদয়ের প্রকৃত স্বরূপটি ফুটে ওঠে । সেখানে ধ্বনিত হয় স্নেহ – হাহাকার ও অসহায়তা । রক্ষোকুলের শ্রেষ্ঠ সম্পদটিকে যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠাতে তাঁর মন চায় না । তিনি পিতা – পুত্রের কথোপকথন চান না স্বর্ণলঙ্কার শেষ কুলপ্রদীপটি নির্বাপিত হোক । কারণ স্বয়ং বিধাতাও রাবণের প্রতি বিরূপ । না – হলে শিলা যেমন জলে ভাসে না , তেমনই মৃত কখনও পুনর্জীবন পায় না । অথচ এক্ষেত্রে তাই ঘটেছে । কিন্তু পৌরুষ ও সৎসাহসে উদ্দীপ্ত ইন্দ্ৰজিৎ অগ্নিদেবকে রুষ্ট করতে কিংবা পরাজিত ইন্দ্রদেবের হাসির পাত্র হতে পারেন না । তাই তিনি দ্বিতীয়বার রাঘবকে পরাজিত করার জন্য পিতার আব্বা চান । রাবণের অন্তর ক্ষতবিক্ষত মানসিক টানাপোড়েনে তিনি আকুল – অস্থির । তাঁর দৃষ্টির সামনে ভূপতিত পর্বতসম কুম্ভকর্ণ । তিনি প্রাণাধিক প্রিয় ‘ বীরমণি ‘ – কে প্রথমে ইস্টদেবের পূজা ও তারপর নিকুম্ভিলা যজ্ঞ সাঙ্গ করে পরদিন সকালে যুদ্ধযাত্রা করতে বলেন । কিন্তু দ্বিধা – দ্বন্দ্ব প্রশমিত করে যথাবিধি মেনে সেনাপতি পদে ইন্দ্রজিতের অভিষেক ঘটান । এখানে এক ভাগ্যবিড়ম্বিত শোকাহত ও নিঃসঙ্গ পিতার পাশে , সাহস – অহংকার আর বীরধর্মে উজ্জীবিত পুত্রের আশ্চর্য ছবি তুলে ধরেছেন কবি মধুসুদন । 

8. পাঠ্য কবিতা অবলম্বনে ইন্দ্রজিতের চরিত্র আলোচনা করো , অথবা , অভিষেক করিলা কুমারে পাঠ্য কবিতা অবলম্বনে কুমার এর চরিত্রবিশ্লেষণ করো  

Ans: আমাদের পাঠ্য কাব্যাংশ ‘ অভিষেক ‘ – এ কেন্দ্রীয় চরিত্র মেঘনাদ বা ইন্দ্রজিৎ । পাঠ্যাংশের স্বল্প পরিসরে তাঁর চরিত্রের বেশ কিছু দিক ফুটে ওঠে । 

রত্ব : বীর ইন্দ্রজিৎ নিজের বাহুবলের ওপর যথেষ্ট আস্থাশীল । বীরবাহুর মৃত্যু ও পিতার যুদ্ধযাত্রার কথা শুনে তাঁর বীরসত্তা জেগে ওঠে । বীরোচিত সাজসজ্জা করে তিনি লঙ্কার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন । 

আত্মপ্রত্যয় : ইন্দ্ৰজিৎ আগে দু – বার রামচন্দ্রকে পরাজিত করেছেন , এমনকি তাঁকে নিহতও করেছেন । তবু কোনো এক মায়া বলে আবার জীবন ফিরে পেয়েছেন রাম । কিন্তু তা সত্ত্বেও তিনি যখন রামচন্দ্রকে বন্দি করে রাবণের পদতলে নিয়ে আসার কথা বলেন , তখন তাঁর মধ্যে আত্মপ্রত্যয় ও দৃঢ়তা লক্ষ করা যায় । 

কর্তব্যবোধ প্রমোদকাননে বিলাসে মত্ত থাকাকালীন প্রভাষা – রূপী লক্ষ্মীর কাছে লঙ্কার দুর্দিন এবং পিতার যুদ্ধযাত্রার কথা শোনামাত্রই ইন্দ্রজিৎ লঙ্কায় উপস্থিত হন । যোগ্য সন্তান থাকা সত্ত্বেও পিতার যুদ্ধযাত্রাকে তিনি নিজের কলঙ্ক বলেই মনে করেন । 

দেশপ্রেম ও আত্মসমালোচনা : স্বর্ণলঙ্কা শত্রুসেনা দ্বারা আক্রান্ত অথচ তিনি প্রমোদকাননে বিলাসে মত্ত এ কথা জেনে ইন্দ্রজিৎ নিজেকে ধিক্কার দেন । এর থেকে তাঁর দেশপ্রেমের যেমন পরিচয় পাওয়া যায় , তেমনই বোঝা যায় আত্মপ্রত্যয়ী প্রয়োজনে নিজের সমালোচনা করতেও তিনি পিছপা নন । 

→ পত্নীপ্রেম স্ত্রী প্রমীলার কাছ থেকে বিদায় নেওয়ার সময় তাকে আশ্বস্ত করে ইন্দ্রজিৎ বলেন ভালোবাসার যে , দৃঢ় বন্ধনে তাঁরা আবদ্ধ তা ছিন্ন হওয়ার নয় । এ তাঁর পত্নীপ্রেমেরই পরিচয় । এভাবেই মহাকাব্যের খলনায়ক মধুসূদনের লিখনকৌশলে হয়ে উঠেছে । কবির পছন্দের নায়ক ।

9. ‘ তবে কেন তুমি , গুণনিধি , ত্যজ কি কিরীরে আজি ? কিঙ্করী কে ? তাঁর চরিত্রবৈশিষ্ট্য আলোচনা করো । 

Ans: মধুসূদনের ‘ অভিষেক ‘ কাব্যাংশে কিঙ্করী হলেন প্রমীলা ।। ‘ কিঙ্করী ‘ শব্দের অর্থ দাসী । স্বামীর বিরহে কাতর । এক স্ত্রীর আকুতি প্রমীলার এই উক্তির মধ্য দিয়ে বিনীর পরিচয় প্রতিফলিত হয়েছে ।। চরিত্ৰবৈশিষ্ট্য প্রমীলা রাবণের পুত্রবধূ মেঘনাদের স্ত্রী । মহাকাব্যে চিত্রিত প্রমীলা চরিত্র কবির কল্পনাপ্রসূত । মূল বাল্মীকি রামায়ণে এই চরিত্র সম্পর্কে উল্লেখ না থাকলেও কৃত্তিবাসী রামায়ণে এই চরিত্রের উল্লেখ আছে । প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য সাহিত্যের সংমিশ্রণে মধুসুদন তাঁর এই মানসকন্যাকে অঙ্কন করেছেন । যা বাংলা সাহিত্যে বিরল । 

পতিবিরহে কাতর : পাঠ্যে আমরা প্রমীলাকে পাই এমন এক নারী হিসেবে যে যুদ্ধগামী পতিকে বিদায় দিতে অনিচ্ছুক । একজন কুলবধূর পক্ষে তাই স্বাভাবিক । তিনি পতিপ্রেমে মুগ্ধ , তাই সাময়িক পতিবিরহ যে তার পক্ষে অসহনীয় তার উল্লেখ তাঁর উক্তিতেই পাওয়া যায় ।

 যোগ্য পত্নী : প্রমীলা মেঘনাদের সুযোগ্য পত্নী । সর্বজয়ী প্রেমে সে মেঘনাদকে জয় করেছেন । মেঘনাদের উক্তিতেই তা স্পষ্ট , ইন্দ্রজিতে জিতি তুমি , সতি , / বেঁধেছ যে দৃঢ় বাঁধে , কে পারে খুলিতে / সে বাঁধে ? ‘ — এ কেবল মুখের কথা নয় , এ এক পরমসত্য । নারী যে বিচিত্র রূপ ধরতে পারে , তা প্রমীলার মধ্যে দেখা যায় । যেভাবে তিনি দেব – দৈত্য – নর – ত্রাস রণরঙ্গে মত্ত বীরকে নিজের প্রেমে আবদ্ধ করেছেন তা তুলনাহীন ।

10. রাবণ চরিত্র আলোচনা করো

Ans: মধুসূদনের রাবণ এক ভাগ্যবিড়ম্বিত নায়ক । পাঠ্যাংশে আমরা তাঁকে পাই একজন স্নেহশীল পিতা , দৈবাহত রাজা , দায়িত্ববান শাসক , ভ্রাতৃপ্রেমী অগ্রজ , সমরবিশেষজ্ঞ এবং ধর্মভীরু হিসেবে । 

স্নেহশীল পিতা : বীরবাহুর মৃত্যুতে শোক এবং ইন্দ্রজিৎকে যুদ্ধে পাঠাতে না চাওয়া লঙ্কেশ্বর রাবণের অকৃত্রিম পুত্রস্নেহের পরিচায়ক । 

দৈবাহত রাজা : রাবণের রণসজ্জার মধ্যে তাঁর তেজোদৃপ্ত রাজসিক ভাব যথেষ্ট প্রকাশিত হলেও এই রাজাকেই আমরা নিয়তির কাছে অসহায় ভাবে আত্মসমর্পণ করতে দেখি । তিনি ‘ বিধি বাম ’ বলে ইন্দ্রজিতের কাছে অসহায়তা প্রকাশ করেন । 

দায়িত্ববান শাসক : কুম্ভকর্ণ ও বীরবাহুর মৃত্যুতে লঙ্কাপুরী যখন বীরশূন্য তখন দেশকে বাঁচাতে রাজা রাবণ স্বয়ং যুদ্ধযাত্রার প্রস্তুতি নেয় । তাঁর এই উদ্যোগ রাজা হিসেবে তাঁর দায়িত্বকেই প্রকট করে । 

স্রাতৃপ্রেমী অগ্রজ : দেশের সুরক্ষার স্বার্থে রাবণ কুম্ভকর্ণকে অকালে জাগিয়ে যুদ্ধে পাঠান এবং যুদ্ধে কুম্ভকর্ণের মৃত্যু হয় । এজন্য তিনি শুধু শোকগ্রস্তই হন না বরং নিজেকে দায়ীও মনে করেন । 

সমর বিশেষজ্ঞ লঙ্কেশ্বর দেশের স্বার্থে যোগ্য বীর ইন্দ্রজিৎকে সেনাপতি পদে বরণ করে নেন । তবে তাঁর অভিজ্ঞতা থেকে তিনি ইন্দ্রজিৎকে রাতে যুদ্ধে যেতে নিষেধ করেন । 

ধর্মভীরু : ইন্দ্ৰজিৎকে সেনাপতি পদে অভিষিক্ত করার সময় রাবণ শাস্ত্রবিধি মেনেই তা করেন । এমনকি যুদ্ধে যাওয়ার আগে তিনি ইন্দ্রজিৎকে ইষ্টদেবতার পূজা করার উপদেশ দেন । এ তাঁর ধর্মভীরুতারই প্রকাশ ।

11. যেন উড়িলা মৈনাক শৈল পৌরাণিক আখ্যানটি লেখো পাঠ্য কবিতা অবলম্বনে ইন্দ্রজিতের লঙ্কাযাত্রার বর্ণনা দাও  

Ans: পাঠ্য ‘ অভিষেক ‘ কাব্যাংশে কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত উত্ত প্রসঙ্গের অবতারণা করেছেন । কৈলাসের দক্ষিণে অবস্থিত মৈনাক পর্বত হিমালয় ও মেনকার পুত্র । পুরাণ অনুসারে পূর্বকালে পর্বতদের পাখা থাকত । পাখির মতো তাঁরা পৌরাণিক আখ্যান চারদিকে আকাশপথে ভ্রমণ করতে পারতেন । দেবতা ও ঋষিরা এই পর্বতদের সর্বদা ভয় করতেন । ইন্দ্ৰ একবার ক্রুদ্ধ হয়ে সব পর্বতের পক্ষচ্ছেদ করেছিলেন । কিন্তু মৈনাক পবনদেবের সাহায্যে সাগরে আশ্রয় নিয়ে ইন্দ্রের আক্রমণ থেকে রক্ষা পান । হনুমানের সাগর পার হওয়ার সময় পবনদেবের উপকারের কথা স্মরণ করে তাঁর বিশ্রামের জন্য মৈনাক পর্বত জল থেকে উঠে এসে হনুমানকে তাঁর উপর বিশ্রাম নিতে বলেন । হনুমান তাঁকে স্পর্শ করে ধন্যবাদ জানিয়ে চলে যান । রামায়ণে আমরা এই কাহিনির উল্লেখ পাই । → প্রভাষা ধাত্রীর ছদ্মবেশধারী লক্ষ্মীর কাছে স্বর্ণলঙ্কার ঘোরতর দুর্দিনের কথা শুনে , ইন্দ্রজিতের প্রমোদকানন ত্যাগ করে স্বর্ণলঙ্কার উদ্দেশে যাত্রাকে ইন্দ্রজিতের লঙ্কাযাত্রা কবি মৈনাক শৈলের হৈমপাখা বিস্তার করে সমস্ত আকাশময় ঘুরে বেড়ানোর সঙ্গে তুলনা করেছেন । ক্রুদ্ধ ইন্দ্রজিতের ধনুকের টংকার যেন মেঘমাঝে গরুড়ের প্রবল গর্জন । ইন্দ্রজিতের এই প্রবল প্রতাপে স্বর্ণলঙ্কাসহ সমুদ্র বারবার কেঁপে উঠতে থাকে । 

12. কি ছার সে নর , তারে ডরাও আপনি , / রাজেন্দ্র ? থাকিতে দাস , যদি যাও রণে রাজেন্দ্র কে ? তাঁর প্রতি বক্তার এমন মন্তব্যের কারণ আলোচনা করো  

Ans: আমাদের পাঠ্য মধুসূদনের ‘ অভিষেক ’ নামক কাব্যাংশে ‘ রাজেন্দ্র ’ বলতে লঙ্কাধিপতি রাবণকে বোঝানো হয়েছে । অসুরারি রিপু ইন্দ্রজিৎ তাঁর পিতাকে এ নামে অভিহিত করেছেন ।

  বক্তার প্রশ্নোদৃত মন্তব্যের কারণ প্রভাষার ছদ্মবেশধারী লক্ষ্মীর মুখে রামের হাতে বীরবাহুর মৃত্যু এবং লঙ্কার এই ঘোর দুর্দিনে শোকাহত রাবণের যুদ্ধযাত্রার কথা শুনে নিজেকে । তীব্র ধিক্কার জানিয়ে প্রমোদকানন ত্যাগ করে ইন্দ্রজিৎ লঙ্কায় আসেন । রামের মায়া না বুঝলেও ইন্দ্রজিৎ তাঁকে ভস্ম করার কিংবা বেঁধে আনার অঙ্গীকার করে পিতার কাছে । যুদ্ধের অনুমতি চান । বিধাতার কাছে পরাজিত পুত্রবৎসল পিতা রাবণ লঙ্কার রাজবংশের শেষ প্রদীপকে নির্বাপিত করতে চান না । তাই তিনি ইন্দ্ৰজিৎকে যুদ্ধের অনুমতি দিতে নারাজ । কিন্তু পৌরুষের মাহাত্ম্যে উজ্জ্বল দেবরাজ ইন্দ্রকে যিনি পরাস্ত করেছেন তিনি । যুদ্ধে না – গিয়ে পিতাকে পাঠালে ইন্দ্র হাসবেন এবং অগ্নি রাগ করবেন । তাই পিতার ভেঙে পড়া মানসিকতা ও নিজের বীরদর্পকে উজ্জীবিত করার জন্য গভীর আত্মপ্রত্যয়ের সঙ্গে ইন্দ্রজিতের এমন মন্তব্য ।

13. তারে ডরাও আপনি , বক্তা শ্রোতা কারা ? বক্তার এমন মন্তব্যের কারণ কী ? শ্রোতাকে বস্তুা কী বলে আশ্বস্ত করেন ? 

Ans: মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘ অভিষেক ‘ কাব্যাংশ থেকে আলোচ্য প্রশ্নোদৃত অংশটি গৃহীত । উক্ত অংশে বক্তা হলেন রাবণতনয় ইন্দ্রজিৎ এবং শ্রোতা হলেন রক্ষরাজ রাবণ । 

প্রভাষার ছদ্মবেশধারী লক্ষ্মীর কাছে ইন্দ্রজিৎ স্বর্ণলঙ্কার ঘোরতর দুর্দিনের সংবাদ – সহ আর একটি অবিশ্বাস্য সংবাদ পেলেন , বস্তার মন্তব্যের কারণ পরাজিত ও মরণোন্মুখ রামচন্দ্র পুনরায় বেঁচে উঠে , ভাই বীরবাহুকে হত্যা করেছেন । ক্লোধে প্রমোদকানন ত্যাগ করে ইন্দ্ৰজিৎ স্বর্ণলঙ্কায় এসে উপস্থিত হলেন এবং পিতাকে আশ্বস্ত করে স্বয়ং শত্রুনিধনের উদ্দেশ্যে যুদ্ধযাত্রার বাসনা প্রকাশ করেন । 

  পুত্রবৎসল পিতা রাবণের পুত্রকে যুদ্ধে পাঠাতে মন সায় দেয় না । বক্তার আশ্বস্ত করা কথা । ইন্দ্রজিৎ রাবণকে আশ্বস্ত করে বলেন — রামচন্দ্র একজন সামান্য মানুষ , তাই তাকে ভয় পাওয়ার কোনো কারণ তিনি দেখেন না । ইন্দ্রজিতের মতো সেবক থাকতে পিতা যদি যুদ্ধে যান তবে তা কলঙ্কের সমান । এই ঘটনায় মেঘবাহন ইন্দ্র হাসবেন , আর অগ্নিদেবও ক্রোধান্বিত হবেন । পর পর দু – বার শত্রুকুলকে মৃতপ্রায় করে যুদ্ধক্ষেত্রে জয়ী হয়েছেন ইন্দ্রজিৎ । এবার তিনি দেখতে চান কোন ওষুধের বলে রাঘব পুনরায় প্রাণ ফিরে পায় । এই বিশ্বাস নিয়ে তিনি রাবণরাজাকে আশ্বস্ত করে যুদ্ধযাত্রার অনুমতি চাইলেন । 

14. ‘ ঘুচাব অপবাদ , বধি রিপুকুলে অপবাদ বলতে বক্তা কোন অপবাদের কথা বলেছেন ? সেই অপবাদ ঘোচাতে বক্তা কী করেছিলেন ?

Ans: মাইকেল মধুসূদনের ‘ অভিষেক ’ থেকে গৃহীত উদ্ধৃতিটির * ও অপবাদ বক্তা রক্ষোকুলের শ্রেষ্ঠ যোদ্ধা ইন্দ্রজিং । তিনি প্রমোদকাননে বিলাসব্যসনে মগ্ন অবস্থায় প্রভাষা রূপী লক্ষ্মীর কাছে বীরবাহুর মৃত্যুসংবাদ এবং পিতা রাবণের যুদ্ধযাত্রার প্রস্তুতির কথা শোনেন । লঙ্কার এমন ঘোর দুর্দিনে নিজের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ ও অসন্তুষ্ট ইন্দ্রজিৎ আত্মধিক্কার দেন । সেইসঙ্গে যুদ্ধে শত্রুকুলের আমূল বিনাশ ঘটিয়ে সমস্ত অপবাদ মুছে ফেলার সংকল্প করেন । 

 অপবাদ ঘোচাতে বস্তুা যা করেছিলেন → ইন্দ্রজিতের নির্দেশে দ্রুত গগনচারী রথ এসে উপস্থিত হয় । তিনি রণসাজে সজ্জিত হন । তাঁর যোদ্ধা রুপ শুধু দেবসেনাপতি কার্তিক এবং বৃহন্নলারূপী অর্জুনের সঙ্গে তুলনীয় । এ সময় স্ত্রী প্রমীলা তাঁর পথ রোধ করে দাঁড়ালে ইন্দ্রজিতের কণ্ঠে ধ্বনিত হয় ভালোবাসা আর আত্মবিশ্বাসের উদ্দীপ্ত বাণী । তারপর প্রাণাধিক প্রিয় ‘ বিধুমুখী ‘ – র কাছ থেকে বিদায় নিয়ে তিনি আকাশপথে লঙ্কাপুরীতে এসে পৌঁছোন । তাঁর ধনুকের ছিলার টংকারে সমগ্র জলধিসহ লঙ্কা কেঁপে ওঠে । ইন্দ্রজিৎকে দেখে সমস্ত রাক্ষসসৈন্যদল সাহস ও অহংকারে রণহুংকার দিয়ে ওঠে । মধুসুদনের ইন্দ্রজিতের মধ্যে সাহস , সততা এবং বিনয়ের এক আশ্চর্য সংমিশ্রণ দেখা যায় । এই সমস্ত গুণের সাহায্যেই তিনি অসহায় পিতাকে আশ্বস্ত করেন । আর দ্বিতীয়বার রাঘবকে বধ করার জন্য রাবণের কাছে অনুমতি চান । পিতা রাবণ প্রথমে ইষ্টদেবতার পূজা সাঙ্গ করে পরদিন সকালে তাঁকে যুদ্ধযাত্রার পরামর্শ দেন এবং যথানিয়মে ইন্দ্রজিৎকে সেনাপতি পদে বরণ করে নেন

*There will be much more sections divided into the above syllabus which will be told in Live Session

You can Purchase our Courses:         

  • 10th – 12th exam Preparation
    • JEE / NET Preparation
      • Govt. Job exam Preparation
        • Computer Courses
        • Engineering Courses

The session will be conducted on “Cademy” Mobile App.

                    

Do Subscribe our YouTube Channel for Free Classes:  @cademyindia

Contact for any Support :                Cademy India Pvt. Ltd.

support@cademy.in

+91-700-1237600

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.